কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের হাটবাজার সমুহে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের ফলে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সকল প্রকার যানবাহন শুন্য, রাস্তাঘাট ও হাটবাজার ফাঁকা হয়ে পড়েছে। ফলে চরম জনদুর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থী, চাকুরীজবিসহ সাধারণ মানুষজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হারও ছিল একবারে কম। পরিবহন ধর্মঘটের সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আকস্মিক বৃষ্টিপাতে কমলগঞ্জে জনদুর্ভোগও সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর রোববার সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যানবাহনের জন্য অপেক্ষারত। তবে রাস্তায় রিক্সা ও মোটরসাইকেল ব্যতীত কোন ধরণের যানবাহন চোখে পড়েনি। ফাঁকা রাস্তায়ও শমশেরনগর বাজারের ভানুগাছ রোডে যানবাহন চালকরা রাস্তার মাঝে সিএনজি-অটোরিক্সা ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। ঔষধ বহনকারী কোম্পানীর যানবাহন সমুহও সেখানে আটকা পড়ছে। এছাড়াও জেলা সদর ও শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ সড়কসহ ছোট ছোট হাটবাজার সমুহে যাতায়াতকারী সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহে নগন্য শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা গেছে। হাটবাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমুহ ফাঁকা রয়েছে।
পরিবহন ধর্মঘটের কারণে রিক্সা ও ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যতীত কমলগঞ্জের কোন সড়কে সিএনজি অটোরিক্সা,মাইক্রোবাস, বাস, প্রাইভেট কার কোন কিছুই চলাচল করেনি। ফলে জেলা সড়র মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ ও কমলগঞ্জ কলেজে অনুষ্ঠিত সম্মান চুড়ান্ত পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে পথের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধকতার মাঝে পড়তে হয়েছে। যানবাহন চলাচল না করায় হাট বাজারে মানুষজনের উপস্থিতিও ছিল কম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহেও উপস্থিতি ছিল কম। একই সাথে বৃষ্টিপাতের কারণে খেতে খাওয়া মানুষজনও ঘর থেকে বের হতে পারেননি। বেশীরভাগ মানুষজনকে ঘরে বসে থাকতে হয়েছে। গতকাল রোববার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ও ভানুগাছ বাজারে সাপ্তাহিক হাটেও মানুষজনের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
পূবালী ব্যাংক শমশেরনগর শাখা ব্যবস্থাপক নুপুর বৈদ্য বলেন, সাপ্তাহিক হাটবার রোববার ও বুধবার তার শাখা সবচেয়ে বেশী কর্ম ব্যস্ত থাকে। তবে পরিবহন ধর্মঘটের সাথে বৃষ্টির কারণে রোববার এ শাখায় গ্রাহক উপস্থিতি খুবই কম ছিল।