শহর প্রতিনিধি॥ সড়ক পরিবহণ আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন ও ৮ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘট শুরু হয়েছে ২৮ অক্টোবর রবিবার সকাল থেকে। সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারেও চলছে পরিবহণ ধর্মঘট। পরিবহণ ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজার জেলা। ধর্মঘটের ফলে অফিসগামী কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পেশাজিবী সহ সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দূর্ভোগে।
মৌলভীবাজার শহরের চৌমূহনা এলাকায় প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকত। পরিবহণ ধর্মঘটে চৌমূহনা এলাকায় কোন ধরণের গাড়ি চলতে দেখা যায়নি। পুরো শহর ঘুরে একই চিত্র দেখা যায়। কোথাও কোন ধরণের যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। লোকজন প্রয়োজনীয় কাজে হেঁটে হেঁটে গন্তব্য স্থলে যাচ্ছেন।
ধর্মঘটে চলছে অনার্স ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। এতে পরীক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। আবার অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন ধর্মঘটের কারণে। সড়কে গাড়ি না চলায় অনেক শিক্ষার্থীকে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পথ হেঁটে এসে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। আবার অনেক শিক্ষার্থীকে মোটরবাইকে চড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়। এদিকে সকল ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পাশ হয়েছে। আমরা এই আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের জন্য সরকারকে জানিয়েছি। এবং সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানিয়েছি। এ দাবি মেনে নিলে আমরা ধর্মঘট তুলে নেব। অন্যথায় পরবর্তীতে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কয়েক হাজার পরিবহণ শ্রমিক সমাবেশে অংশ নেন। সেখানে সংসদে পাশ হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কয়েকটি ধারা সংশোধন এবং ৮ দফা দাবি পূরণের আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণা করা হয় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট কর্মসূচি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।