বড়লেখায় শ্রমিকদের সাথে হাতা-হাতির অবরোধে শিশুর মৃত্যু

 মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবরোধকারীরা এ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখায় পথিমধ্যেই অসুস্থ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে বড়যাত্রীদের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের সাথে হাতা-হাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান, বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইয়াছিনুল হক।

বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজমির এলাকার দোবাই প্রবাসী কুটন মিয়ার ৭দিন বয়সের শিশু কন্যা অসুস্থ হলে সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে নিয়ে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন শিশুর মা সায়রা বেগম ও চাচা  আকবর আলী ফুল মিয়া। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন বলে তাকে সিলেট সদরে রেফার করা হয় বলে জানান, বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: আহমদ হোসাইন। তিনি জানান, তাদের এ্যাম্বুলেন্সটি ভোরে অন্য রোগী নিয়ে সিলেটে চলে যাওয়ায় একটি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তারা সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে পথি মধ্যে দুইবার বাঁধাগস্থ হন। এতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় রাস্তায়ই শিশুটি মারা যায়।

এ ব্যাপারে শিশুটির চাচা  আকবর আলী ফুল মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় তারা এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে প্রথমে উপজেলার দাশের বাজার এলাকায় প্রায় আধাঘন্টা আটকে রাখে অবরোধকারী শ্রমিকরা। সেখান থেকে অনেক অনুরোধে ছাড়া পেলেও পুনরায় তাদের এ্যাম্বুলেন্সটি আটকা পড়ে সিলেটের বিয়ানীবাজারের চান্দ্রগ্রাম এলাকায়। সেখানে সেখানে অবরোধকারী পরিবহন শ্রমিকদের সাথে বাক বিতন্ডার দেড়ঘন্টা পর শিশুটির অবস্থা খারাপ হলে তারা গাড়িটি ছাড়ে। এ সময় তারা শিশুর নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পথিমথ্যে বেলা ২টার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করেন।

এদিকে দুপুরে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুরের কানলী এলাকায় বড়যাত্রীবাহী গাড়ী আটক করে অবরোধকারীরা। এ সময় অবরোধকারী ও বড়যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় বাক-বিতন্ডা। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতা-হাতি শুরু হলে ৭/৮জন বড়যাত্রী কিছুটা আহতহন। খবর পেয়ে বড়লেখা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে বরযাত্রীবাহীগাড়িটি ছাড়িয়ে দেন বলে জানান ওসি ইয়াছিনুল হক।

শেয়ার করুন