কুলাউড়া প্রতিনিধি॥ কুলাউড়ার ভুকশিমইলে বিয়ের ৭ মাসের মাথায় লিপি বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবী,বিয়ের ফার্নিচারের টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র শশুর বাড়ীর নির্যাতন ও অপমান সইতে না পেরে গৃহবধু লিপি গলায় ফাঁস দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ অক্টোবর রবিবার দুপুর ২ টায় উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের কানেহাত গ্রামে স্বামীর বাড়ীতে। পুলিশ বিকেলে লাশ উদ্বার করেছে।
কুলাউড়া থানায় কান্নাজড়িত কন্ঠে নিহতের মা রুশনা বেগম বলেন, ৭ মাস পূর্বে তার মেয়ে লংলা আধুনিক মহাবিদ্যালয়ের ডিগ্রী ১ম বর্ষের ছাত্রী লিপি বেগম(১৯)কে কানেহাত গ্রামের কাতার প্রবাসী আব্দুস সামাদ এর সাথে বিয়ে দেওয়া হয় । বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে নির্যাতন করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, তার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসাবে প্রচার করছেন শশুর বাড়ির লোকজন।
নিহতের পিতা আব্দুল মনাফ বলেন, আমার মেয়েকে ভাসুর-দেবরসহ শশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা হিসাবে প্রচার করছেন। আমরা কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি।
নিহতের ভাসুর সাইদুর রহমান বলেন,স্বামীর সাথে মোবাইলে কথা বলে লিপি শয়ন কক্ষে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হয়ত: স্বামীর সাথে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করতে পারে। নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, নিহতের পিতার বাড়ীর এক মেম্বার এসে উসকানী দিয়ে এ মিথ্যে অভিযোগ করাচ্ছেন।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার এসআই আনোয়ার জানান, ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়ে গৃহবধুর লাশ উদ্বার করা হয়েছে। তবে মৃত্যুটি হত্যা না আত্মহত্যা পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট আসার পর বুঝা যাবে। নিহতের পিতার বাড়ীর কোন লিখিত অভিযোগ এখনো পাননি বলে তিনি জানান।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।