মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার প্রেমিকার বাড়িতে এসে প্রেমিকার স্বজনদের ছুরিকাঘাতে অপর আতিয়া চা বাগানের চা শ্রমিক প্রেমিক ওপন্দ্রে রুদ্র পাল আদর (৩২) খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
তবে পুলিশ বলেছে যদিও আটককৃত প্রেমিকাসহ ৫জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এখন পর্যন্ত খুনের বিষয়টি স্বীকার করেনিা।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১টায় উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের কালাছড়া এ ঘটনা ঘটে।
১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আবু ইউছুফ এতথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত চা শ্রমিক মৃত চন্দ্রধর রুদ্র পালের ছেলে। জুড়ি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় পুলিশ ৫জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই সন্তানের জনক ওপেন্দ্র রুদ্র পাল ঘটনার সময় তার প্রেমিকা প্রতিবেশি মৃত হলধর রায়ের মেয়ে বিবাহিতা লক্ষ্মী রায় (২০) এর সাথে দেখা করতে যায়। তখন লক্ষ্মীর ভাই ও স্বজনরা তাকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। খবর পেয়ে গভীর রাতে নিহতের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওপেন্দ্রকে মৃত ঘোষণা করেন।
আটককৃতরা হলেন, মৃত হলধর রায়ের মেয়ে বিধবা লক্ষ্মী রায় ও তার ভাই অজয় রায়, সুমন রায়, সহযোগি মৃত নুনুয়া রায়ের ছেলে চন্দ্রধর রায় এবং মৃত জয়ন্ত রায়ের ছেলে ভন্ড রায়।
মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ আবু ইউছুফ বলেন, জুড়ী উপজেলার আতিয়াবাগ চা বাগানের শ্রমিক ওপেন্দ্র রুদ্র পাল ( ৩২) বিধবা নারী লক্ষী রায় (২০) এর বাড়িতে বুধবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে যায়। লক্ষীর ভাই সুমন রায় (২২) টের পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে বড় ভাই অজয় রায় ছুরি নিয়ে দৌড়ায়। এক পর্যায়ে নিহত চা শ্রমিকের পায়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় অজয় রায়। ওপেন্দ্র অধিক রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। পরে জুড়ি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রেমিকা, তার ২ ভাই এবং সহায়তাকারী ২ জনসহ মোট ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।