মৌলভীবাজার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা শুরু

সাইফুল ইসলাম.
স্বল্প সময়ে কম শ্রমিক ব্যবহারের মাধ্যমে একইসঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই, পরিস্কার করতে ব্যবহার করা হয় কম্বাইন হারভেস্টার। কৃষিখাতে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে উন্নত প্রযুক্তির এ মেশিনের দিকে ঝুঁকছেন বড় কৃষকরা। মেশিনটির ব্যবহার বাড়ানো গেলে কম খরচে বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব। তবে মেশিনের দাম বেশি হওয়ায় তা কিনতে পারছেন না কৃষকরা। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সহায়তা পাওয়া গেলে এক্ষেত্রে আরো ভাল ফল পাওয়া সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকায় মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সার্বিক সহযোগিতায় খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়ে) এর আওতায় কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা আমন ধান কাটা উদ্ধোধন হয়েছে। ধানকাটা উদ্ধোধনকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. শাহজাহান, জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কাজী লুৎফুর বারী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত কান্তি দত্ত, শ্রীমঙ্গল উপজেলা অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন মুনালিছা সুইটি প্রমুখ।
কৃষি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় চীন সরকারের অনুদান হিসেবে দেয়া ৭টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন রয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.শাহজাহান বলেন, কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা ধান কর্তন করলে লেবার খরচ অনেক কম হয। সাড়ে তিন টন ওজনের মেশিন দ্বারা প্রতি ঘন্টায় তিনবিঘা জমির ধান কাটা যায়। যার জ্বালানী খরচ ব্যয় ১৪ লিটার ডিজেল। যারমূল্য ৮০০-৯০০টাকা। দূর্যোগকালীন সময়ে অল্প সময়ে কম খরচে ধান কর্তন করে ঘরে তুলা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো সার্পোট নাই শুধু মেশিনটাই। যে কেউ এই মেশিন ব্যবহার করতে পারবে। এই মেশিন নষ্ট হইলে তার নিজ দায়িত্বে ঠিক করে দিতে হবে এবং অফিস পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। বাংলাদেশে এই মেশিনটা নাই।এই মেশিনটা বাংলাদেশে নাই। চীন সরকার বাংলাদেশে ৭টি মেশিন অনুদান হিসেবে দিয়েছে। এই ৭টি মেশিন হাওরে দিয়া দিছে। সুনামগঞ্জ ২টা,হবিগঞ্জ ১টা,মৌলভীবাজার ১টা,সিলেট ১টা,কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় ২টা।’

শেয়ার করুন