নানাবাড়ী ফুলবাড়ী; আমার ও মায়ের জন্মস্থান

-মনসুর চৌধুরী (ঢাকা) জালালপুর, সিলেট

ছোট বড় টিলা এবং সবুজ গাছপালায় ঢাকা এক সুন্দর জনপদ ফুলবাড়ী। এটা সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানায় আমার নানার বাড়ী। বাড়ীর সামনের রাস্তা থেকে সিড়ি বেয়ে টিলায় উঠলে একটি বৈঠকখানা এবং বৈঠকখানার পিছনে আবার সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলে মুল বাড়ী। এটা অনেকটা পর্যটন রিসোর্টের মত সুন্দর সাজানো গোছানো। বাড়ীতে অনেক গাছপালা। এখানে আছে তেজপাতা, দারুচিনি, গোল মরিচ এবং এলাচের মত দুস্প্রাপ্য গাছ। বাড়ীতে বিদ্যুৎ এবং আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা আছে কিন্তু কেউ থাকেন না। আমার ৫ মামাত ভাইয়ের ২ জন (আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী -কামরান) আমেরিকা ও ৩ জন (আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী -লোকমান, আব্দুল গফুর চৌধুরী -রেদওয়ান ও আব্দুল মুনিম চৌধুরী -ইমরান) কানাডায় স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। বাড়ীতে আছে শুধু একজন কেয়ারটেকার।

বৈঠকখানার বামদিক থেকে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলে বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থান। এখানে আছে এবাড়ীর পূর্ব পুরুষ বড় বড় পীর আউলিয়ার মাজার। প্রতিদিন দুর দুরান্ত থেকে দলে দলে মানুষ আসেন মাজার জিয়ারত করতে। কবরস্থানে রাতে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে কারন রাতেও মানুষ মাজার জিয়ারত করতে আসেন।

আমি জন্মগ্রহন করেছিলাম এই বাড়ীতে। শিশু কালে এই বাড়ীতে লালিতপালিত হয়েছি। তাই এই বাড়ীর জন্য রয়েছে আমার একটা আলাদা আকর্ষন। তাছাড়া এই কবরস্থানেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন আমার মা, নানা, নানী, মামা, মামী ও আরোও অনেকে। শিশুকালে আমার জন্য অনেক শ্রম দিয়েছেন এ বাড়ীর গৃহকর্মী জইরা বু। তাকেও এখানে দাফন করা হয়েছিল। তাই ফুলবাড়ী আসলে প্রথমেই এই কবরস্থানে সবার কবর জিয়ারত করি।

এই গ্রামেই আমার বোনের বাড়ী (২য় বোন)। বর্তমানে এই বোনের বাড়ীই আমরা এসে থাকি।

বাড়ীতে উঠার সিড়িতে লেখক মনসুর চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছেন

 

লেখকের ছোট ছেলে বাড়ীর গাছপালার বেস্টনীতে দাঁড়িয়ে

 

বাড়ীর পিছনের বৃক্ষরাশির মধ্যে দাঁড়িয়ে লেখক

 

নানা বাড়ীর উঠানে দাঁড়িয়ে লেখক, এটাই লেখকের জন্মগৃহ

বাড়ীর উঠানে লেখকের বড় ছেলে, পুত্রবধু ও নাতি

বাড়ীর বৈঠকখানার সামনে লেখকের বড় ছেলে, পুত্রবধু ও নাতি

 

বোনের বাড়ীর উঠানে লেখকের বোন, ছেলের বউ ও নাতিকোলে নিয়ে লেখক

শেয়ার করুন