মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি মৌলভীবাজার- ৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। পরপর পাঁচবার তিনি এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গত দশ বছর তাঁর নির্বাচনী এলাকায় মানুষ শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পেরেছেন। এলাকায় চাঁদাবাজদের কোনো দৌড়াত্ম ছিল না। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ কর্মীদের মতে, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে দলমত নির্বিশেষে তিনি এই অঞ্চলের গণমানুষের নেতা হয়ে উঠেছেন। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেন। অর্জন করেছেন আস্থা, বিশ্বাস আর ভালোবাসা। উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ মৌলভীবাজার-৪ আসন থেকে ১৯৯১ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে এরপর ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আব্দুস শহীদের সঙ্গে এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
২০০৯- ২০১৪ পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, ২০০১- ২০০৬ পযর্ন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ, এবং ১৯৯৬- ২০০১ পযর্ন্ত জাতীয় সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলেরও তিনি সদস্য।
উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ ২০০৬ থেকে ২০১৭ পযর্ন্ত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ও ১৯৬৯ সালের ১১ দফা আন্দোলনে ও পূর্বাপর সকল আন্দোলনে সিলেট জেলা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হিসাবে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগ মনোনীত সিলেট মদনমোহন কলেজ ছাত্র সংসদে নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬- ১৯৬৮ পর্যন্ত তিনি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে আব্দুস শহীদ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯১- ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। একই সময়ে তিনি ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি ছিলেন।
উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এম.কম ডিগ্রি লাভ করেন। সম্প্রতি (২০১৮) তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল নির্বাচনী এলাকায় রাস্থাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিতকরণে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। কৃষির উন্নয়নেও তার অবদান প্রশংসিত। দুই উপজেলায় ফসল উৎপাদন ও রক্ষায় সেচব্যবস্থার উন্নয়নে স্লুইসগেইট ও রাবারড্যাম এবং বাঁধ তৈরি করা হয়েছে।
উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ টেলিফোনে বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক ভিশন হচ্ছে নির্বাচনী এলাকার গণমানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায় ও তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করা। ’
ষষ্ঠবারের মতো দলীয় মনোনয়ন লাভের প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, ‘আমার এলাকার প্রিয় নেতাকর্মী ও জনগণের দোয়া-আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা ও শুভকামনার ফসল আওয়ামী লীগের এই মনোনয়ন। সে জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মনোনয়ন বোর্ডের সবার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।