সুলতান মনসুরের পক্ষে কাজ করবেন আলী আব্বাছ!

 

 

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নওয়াব আলী আব্বাছ খাঁন এর পক্ষে মাঠে নামেন সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় তিনি এক ভোটে দুই এমপি নির্বাচিত করার আহবান জানালে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে সেই আহবানে সাড়া দিয়ে আলী আব্বাছ খাঁনকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিলেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে আলী আব্বাছ খাঁন, সুলতান মনসুর কিংবা এম এম শাহীন কেউ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ আব্দুল মতিন এমপি নির্বাচিত হন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মনসুর ঐক্যফ্রন্টের হয়ে ধানের শীষে আর বিকল্পধারার হয়ে বিএনপির এম এম শাহীন নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। সাবেক তিন বারের এমপি নওয়াব আলী আব্বাছ খাঁন এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। জাতীয় পার্টি থেকে তিনি কোনো মনোনয়ন ফরম কিনেন নি। তবে তিনি ঐক্যফ্রন্টের দিকে তাকিয়ে আছেন। ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ পেলে তিনি নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। ধানের শীষ না পেলে তিনি ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন বলে জানান।
নওয়াব আলী আব্বাছ খাঁন বলেন, পদের লোভ আমার নেই। দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেছি। দলের সকল নেতাকর্মীদের সাথে আমার সু-সম্পর্ক রয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট থেকে সুলতান মনসুর ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবেন তখন আপনার ভূমিকা কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুলতান ভাইর সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি আমার সাথে পরাজিত হয়েছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি এমপি নির্বাচিত হই। ওই নির্বাচনে সুলতান ভাই নিজের নির্বাচন মনে করে আমার পক্ষে আন্তরিকভাবে কাজ করেছিলেন। আমার যদি কোনো সুযোগ তৈরি হয় তাহলে এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুরের ধানের শীষের পক্ষে কাজ করে আমি আমার ঋণ শোধ করবো। তিনি আরো বলেন, আমি গ্রামের মানুষ, সবাইকে নিয়ে আমার পথচলা। এটাই আমার গর্ব এবং পরম পাওয়া। এমপি না হলেও আমি কুলাউড়ার মানুষের জন্য আজীবন কাজ করে যাবো।

শেয়ার করুন