বিশেষ প্রতিনিধি:
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ আবার পিছিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ উন্নয়ন চাইলে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে। শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে তিন শতাধিক সাবেক আমলা সংহতি জানাতে এলে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক অপমান সয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর আহ্বানে আবার সংলাপ করেছি। আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে সংহতি জানাতে গণভবনে আসেন ৩০৭ জন সাবেক আমলা। এদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব, সচিবসহ বিভিন্ন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা। ছিলেন সাবেক কূটনীতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, পুলিশ এবং কৃষি ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তারা। ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বিএনপির শাসনামলের অনিয়ম ও দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরেন। বলেন, ক্ষমতার পালাবদলে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের নির্যাতন করেছিলো তৎকালীন সরকার।
তিনি বলেন, আমি ২০০১ প্রেসিডেন্টের কাছে আমার পদত্যাগপত্র দিয়ে শপথ অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার পথেই শুনেছিলাম ১৩ জন সচিবকে ওএসডি করে দেয়া হয়েছে। অনেককে বঙ্গভবনে গিয়ে তার জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে দেয়াও হয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং এ লক্ষ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে তার সরকার।
তিনি বলেন, ‘অনেক অপমান সহ্য করার পরও যখন বিরোধী দলগুলো সংলাপ চাইলো সাথে সাথে আমি রাজি হয়ে গেলাম, কারণ আমি চাই নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হোক। ভোট কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে জেতার ইচ্ছা আমাদের নেই। জনগণের জন্য কাজ করেছি, জনগণ খুশি হয়ে ভোট দিলে ক্ষমতায় থাকব, নইলে থাকবো না।’
সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়ন থেমে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া চায় না, তারা দেশের জন্যও কাজ করবে না। মানুষের জন্য কাজ করতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা একান্ত প্রয়োজন।
উন্নয়নের বার্তা তৃণমূলে পৌঁছে দিতে সাবেক এ আমলাদের কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সা/2018