মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
সুশীল সমাজেরর সংগঠন সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক এর জেলা সম্পাদক জহর লাল দত্ত ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. আব্দুল হালিম এর কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সর্বশেষ মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী ভাবনা শীর্ষক “নির্বাচনী অলিম্পিয়াড” নামের একটি প্রতিযোগিতায় একই ভাবে অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগে এক ভুক্তভোগী তাদের বিরোদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেছে। একটি সুত্রে প্রকাশ- সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক এর নির্ধারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। কিন্তু,জেলা সম্পাদক জহর লাল দত্ত এবং সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারীর যোগসাজসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দায়সারা ভাবে আয়োজন করে ভুয়া বিল করে টাকা পয়সা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। সুশীল মানুষের সংগঠন সুজনের স্থানীয় সম্পাদক, কাম- কর্মচারী জহর লাল দত্ত ও আঞ্চলিক কর্মকতার এমন কুকর্মে অনেকেই বিস্মিত।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক গত ২নভেম্বর (শুক্রবার) মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী ভাবনা নিয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড নামের একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেখানে ৪শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও মাত্র ৭৯জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই ৭৯জন শিক্ষার্থীকে কোন প্রকার নাস্তা বা আপ্যায়ন করা হয়নি। কিন্তু ৭৯জনের বিপরীতে ২শতাধীক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে দেখিয়ে ২শতাধিক ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে তাদের আপ্যায়ন বাবদ কয়েক হাজার টাকা ও আরো অন্যান্য খরচ বাবদ আরো কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। তাছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী তখন প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলেন। তারা দাবি করেন- আয়োজকরা তাদের নিকটজনের মাঝে আগে প্রশ্নপত্র তুলে দিয়েছেন। এক পরীক্ষার্থী তার খাতা ও বিজয়ীদের খাতা চ্যালেঞ্জ করলে আয়োজকরা শুধু অভিযোগকারীর খাতা পুনরায় দেখেন। এতে তার আরো কিছু মার্ক যোগ হয়। অথচ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের খাতা দেখা হয়নি। আর এই অনিয়মের মুলহোতা আয়োজক সুশীল নামধারী মৌলভীবাজার জেলা সুজনের সাধারণ সম্পাদক দাবীদার জহর লাল দত্ত এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর সিলেটের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো: আব্দুল হালিম।
এছাড়াও গত ২৪ নভেম্বর আগামী একাদশ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা বিষয়ে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জেলা সুজনের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ১৩/১৪ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করলে তারা অর্থনৈতিক অনিয়মের কারণে কোন শীটে স্বাক্ষর করেননি। এদিকে অনেকেই অভিযোগ করেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা বিষয়ে হলফনামা প্রচার ও মুখোমুখি অনুষ্ঠানের নামে দায়সারা অনুষ্ঠান ও ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিবেন বলে আশংকা করছেন। এশাধিক লোকজন জানান- সুশীল সমাজ ও সুশীল মানুষের সংগঠন সুজন। এখানে সমাজের ভাল মানুষ ও গ্রহণযোগ্য মানুষজনই থাকেন। সেখানে যদি একজন একই প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী (ফিল্ড কো-অডিনেট) জেলা সুজনের জেলা সেক্রেটারি হন, তখন তার কাছে আর কি আশা করতে পারেন। তারা এমন কুকর্মে অনেকেই বিস্মিত এবং দোষি ব্যক্তিদের তদনন্ত পূর্বক জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানান অনেকেই।
মৌলভীবাজারে সুজন সম্পাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
শেয়ার করুন