মৌলভীবাজার-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থীর নেতাকর্মীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়ার অভিযোগ, হাজী মুজিবের !

সাইফুল ইসলাম.

মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো.মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন মামলার কারণে আসতে পারি নাই। যখনই আসতাম পুলিশের ভ্যান আমার অফিসের সামনে থাকতো এবং পুলিশ আসিয়া আমাকে বলতো ওপরের নির্দেশ আপনি এখানে থাকতে পারবেন। এভাবে প্রায় ১০ বছর কেটে গেছে। এই গর্ভমেন্ট ক্ষমতায় থাকাবস্থায় এই নির্বাচনের এক মাত্র উদ্দেশ্য যা আমরা আমাদের নেত্রীর মুক্তি এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এবং মানুষের ভোটের অধিকারের মূলত এই নির্বাচন।
১২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের পূর্বাশাস্থ দলীয় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিপক্ষ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ ও প্রচারণায় বাঁধা দিচ্ছেন। রাতের আধারে পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। দোকানে দোকানে গিয়ে মাইক ভাড়া না দিতে দোকানদারদের হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারকাজে নিয়োজিত উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খায়রুজ্জামান কামালের ফোনে ও বাড়িতে গিয়ে র‌্যাব পরিচয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এনিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন ‘আমি ভেসে আসিনি। কারো ভয়ভীতিতে নির্বাচন থেকে সরে যাবো না। যত বাধা বিপত্তি আসুক না কেন ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমি মাঠে থাকবো’।
হাজি মুজিব বলেন, আজ বুধবার (১২ ডিসেম্বর) উপজেলার নয়নশ্রী, বরুনা গ্রামে ও শহরের বিরাইমপুরে ৩টি পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগের কর্মসূচী ছিল। স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা আছে। এরপরও স্থানীয় যুবলীগের পক্ষে এলাকাগুলোতে এখই সময় এখই স্থানে পাল্টা পথসভার ঘোষনা দিয়ে মাইকিং করেছে। মতবিনিময় সভায় হাজী মুজিব বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কা মধ্যে রয়েছি। আমি স্থানীয় সাংবাদকর্মীর সহায়তা কামনা করছি।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম সিদ্দিকী, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. দুরুদ আহমেদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান কামাল, পৌর বিএনপির স¤পাদক মো. শামীম আহমেদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহসভাপতি মো. জয়নাল চৌধুরী, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. মহিউদ্দিন ঝাড়–, উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. দেলওয়ার হোসেন মামুন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. নিয়ামুল হক তরফদার প্রমূখ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছালিক আহমেদ আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘উপজেলার ওয়ার্ড পর্যায়ে কিছু হলেও হতে পারে, তবে বিষয়টি আমার জানা নেই’।

শেয়ার করুন