আরব উপসাগরের উপকূলে গড়া কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ পামে অবস্থিত এমেরল্ড প্যালেস কেম্পিনস্কি দুবাই। হোটেলটিকে বলা হচ্ছে দুবাইয়ের রাজকীয় ল্যান্ডমার্ক। এর ৫০০ গজ দৈর্ঘ্যের নিজস্ব সৈকত আছে।
প্রাচীন ইউরোপীয় প্রাসাদে অনুপ্রাণিত হয়ে সাজানো হয়েছে এই হোটেলের মূল লবির ইন্টেরিয়র। কারুকার্যময় দেয়ালে ব্যবহৃত জিনিসগুলো তৈরি করেছেন দক্ষ কারিগরেরা।
ছাদখোলা মিলনায়তনের প্রবেশদ্বারে রয়েছে আটটি গোলাপি মার্বেলের পিলার। একই স্থানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সোয়ারভস্কি প্রতিষ্ঠানের ৪০ হাজার ক্রিস্টাল দিয়ে বানানো ঝাড়বাতি।
হোটেলের বলরুমের নাম লে গ্র্যান্ড স্যালোন ম্যাক্সিমিলিয়ান। এতে ব্যবহার করা হয়েছে দামাস্ক সিল্ক কাপড়। সেখানে রয়েছে ব্লুথনার সুপ্রিম এডিশন লুই ফিফটিনের গ্র্যান্ড পিয়ানো।.
এমেরল্ড প্যালেস কেম্পিনস্কি দুবাইয়ে মোট ৩৯১টি রুম রয়েছে।
এই হোটেলের রেস্তোরাঁর সংখ্যা আটটি। এর মধ্যে আছে মিশেলিন পুরস্কার জয়ী শেফ অ্যালো ডুকাসের ‘মিক্স’। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এটাই তার প্রথম রেস্তোরাঁ।
দিনভর খোলা থাকে লে জারদাঁ রেস্তোরাঁ। এর প্রবেশপথের সিলিং ও পিলারে আছে ২৪ ক্যারেট সোনার পাতার মোটিফ।
অ্যালোন্ডা রেস্তোরাঁর সঙ্গে হোটেলের ছাদবারান্দা ও বার সংযুক্ত।
.অতিথিরা ইল রিচ্চিও রেস্তোরাঁর ছাদবারান্দায় বিলাসবহুল আমেজে অবসর কাটাতে পারে।
.প্রতিটি স্যুটে আছে চাকচিক্যময় মার্বেলের বাথটাব ও একটি করে ব্যালকনি। সব কক্ষ থেকে নয়নাভিরাম বাগান, আরব উপসাগর ও পাম লেগুন দেখা যায়।
হোটেলটির রুম ভাড়া স্বাভাবিকভাবে ব্যয়বহুল। প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের প্রতি রাতের ভাড়া চোখ ছানাবড়া করে দেওয়ার মতো— সাড়ে ৫ হাজার পাউন্ড (৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা)! এই স্যুটের জন্য আছে আলাদা খানসামা।
এমেরল্ড বাবলি ওয়ান বেডরুম স্যুটের বাথরুমে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত জানালা, বাথটাব ও ২৪ ঘণ্টা খানসামার সুবিধা পাওয়া যায়।.
ইনডোর পুলটির দৈর্ঘ্য ২২ দশমিক ৫ মিটার। দুবাইয়ে এ ধরনের পুল এটাই সবচেয়ে দীর্ঘ। এছাড়া হোটেলটির ছাদেও পুল, হটটাব, স্পা রুম ও আলাদা খানসামা সেবার ব্যবস্থা রয়েছে।
হোটেলটিতে আছে তিন হাজার বর্গমিটারের স্পা, ২৪ ঘণ্টার ফিটনেস সেন্টার ও জিম, ১৮ গর্তবিশিষ্ট গলফ কোর্স আর ৮০ আসনের একটি নিজস্ব সিনেমা হল। চলচ্চিত্রের প্রদর্শনীর সময় অতিথিদের পরিবেশন করা হয় পপকর্ন, কোমল পানীয় ও অন্যান্য স্ন্যাকস।
এমেরল্ড প্যালেস কেম্পিনস্কি দুবাইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেবাস্তিয়ান মারিয়েট বলেছেন, ‘অসাধারণ স্থাপত্যের মাস্টারপিস এই প্যালেস। এর ডিজাইনের মাধ্যমে ইউরোপীয় কারুনৈপুণ্য নিয়ে আসা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। প্রতিটি জিনিস যত্নের সঙ্গে হাতে বানানো। ইউরোপ জুড়ে সেরা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিভিন্ন সামগ্রী বেছে নিয়েছি আমরা। অতিথিদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদানকেই প্রাধান্য দিচ্ছি আমরা। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করে এমন স্মৃতি গড়ে দিতে চাই যা চিরকাল মনে থাকবে।’সূত্র: ডেইলি মেইল