নির্বাচনী প্রচারনায় বাধা, দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগে মৌলভীবাজার- ৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হাজী মুজিবের সংবাদ সম্মেলন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার-৪,শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনে নির্বাচনী এলাকার বিএনপি, ২০ দলীয় ঐক্যজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী সভা ও প্রচার প্রচারনায় বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কোন কার্যক্রম করতে পারছেন না।
দলীয় নেতাকর্মীদের বিনা অপরাধে গ্রেফতার করছে পুলিশ এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি, ২০ দলীয় ঐক্যজোটের মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মুজিবুর রহমান মুজিব (হাজী মুজিব)।
১৮ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ১০টায় শ্রীমঙ্গলস্থ তার বাসভবনে স্থানীয় সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভোজপুর বাজারে নির্বাচনী সভায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। সভার মঞ্চ পাশঘেঁষে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের একটি প্রচারণার গাড়ী দাঁড় করিয়ে মাইকে স্লোাগান দিতে থাকে এবং অশ্লালীন ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। আমরা মঞ্চ থেকে কিছুটা দুরে গিয়ে আমাদের সভার কাজ শেষ করি। সভা শেষে আমার গাড়ী ও আমার নিজস্ব নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত দুটি গাড়ী নিয়ে ভোজপুর বাজার থেকে বের হয়ে আসলে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে.এম.নজরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমার গাড়ীর গতি রোধ করে। এসময় তারা আমার গাড়ীটি ছেড়ে দিয়ে আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অপর দুইটি গাড়ী থেকে আমার নেতাকর্মীদের পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালা গালি ও মারধর করে আটক করে নিয়ে যায়।
এভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আমাকে একা নিরাপত্তাহীন ভাবে চলে যেতে বাধ্য করায় আমি তীব্র নিন্দা জানাই ও উক্ত ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করি।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাদ আলীকে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ আটক করে। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরে ঐক্যপ্রক্রিয়ার একটি মিটিং-এ পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিটিং পন্ড করে দেয় এবং নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে আটক করার চেষ্টা করে। নেতাকর্মীরা প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ রহিমপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী অফিস হতে উপজেলা বিএনপিসহ প্রচার সম্পাদক শিপলুকে আটক করে।
বিএনপি প্রার্থী মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন. সোমবার তিনি তার নিরাপত্তা চেয়ে জেলা রির্টানিং অফিসার বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের পরপরই সন্ধ্যায় আমার ছেলের উপর দুস্কৃতিকারীদের এই হামলা হয় এতে স্থানীয় নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্খী ও সাধারণ ভোটাররা চরম আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। একদিকে প্রশাসনের হুমকি-ধামকি, গণগ্রেফতার অপরদিকে চুরাগুপ্তা হামলা এভাবে চলতে থাকলে কিভাবে আমরা নির্বাচনী প্রচারনা চালাবো, নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ কিভাবে বজায় থাকবে ? আমরা এধরনের হামলা-মামলা, গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই। প্রশাসনের কাছে আমার পরিবার ও নেতাকর্মীদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। এব্যাপারে তিনি স্থানীয় সকল প্রিণ্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী, সহসভাপতি জয়নাল চৌধুরী, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি দুরুদ আহমেদ, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. শামীম আহমেদ, সিন্দুরখান ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মকছুদ আহমেদসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

শেয়ার করুন