প্রিয় কুলাউড়া বাসী
সবাইকে শ্রেণীমত সালাম আদাব, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকটি বিষয় সদয় বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি,
আমরা জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আজ প্রবাসী, কিন্তু আমাদের মন পরে থাকে কুলাউড়ার সবুজ ছায়াঘেরা মায়াঘেরা পথে প্রান্তরে, আমাদের কুলাউড়ার একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট রয়েছে, এই পবিত্র মাটিতে জন্ম নিয়েছেন অনেক গুণী মানুষ, এখানকার রাজনীতি সচেতন মানুষের রয়েছে অনেক সাহসী ভূমিকা দেশ জাতির কল্যানে,গণতন্ত্র মানবাধিকার রক্ষায়, আমাদের গৌরবময় অতীত ইতিহাস কে ম্লান করে দেয়ার মতো কিছু ঘটলে কুলাউড়ার মানুষ সেটাকে প্রতিহত করবে বলেই আমি বিশ্বাস করি,
আমি অতি সাধারণ একজন রাজনৈতিক কর্মী, কুলাউড়ার সন্তান , আপনাদের কে মনে করিয়ে দিতে চাই ২০১৪ সনের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশের অনেক এলাকার মতো আমরাও আমাদের ভোট দিতে পারি নাই,কারণ একতরফা ক্ষমতা কে কুক্ষিগত করে যে নির্বাচন অনুষ্টিত হয়, সেই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল অংশ গ্রহণ করেনি, সারা দেশে ৫% ভোট মানুষ প্রদান করেনি,তবুও একজন জন প্রতিনিধি সেদিন নির্বাচনে আব্দুল মতিন (জনগণের ভোট ছাড়া ই নির্বাচিত) হয়ে ছিলেন, কুলাউড়ার উন্নয়নে তার নিজের ভূমিকা ০%, কিন্তু নিজের ভাগ্য উনি এবার গড়ে নিয়েছেন সেটা আমার চেয়ে কুলাউড়াবাসী বেশি অবগত আছেন,
কুলাউড়ার একটি ঐতিহ্য রয়েছে যে যার মতো করে এখানে রাজনীতি আমরা করি কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রোশ,প্রতিহিংসা এ ই পর্যন্ত কেউ কারো উপর চরিতার্থ করিনি, এই প্রথম দলছুট এক জন ব্যক্তি সরকারি দলের প্রশ্রয়ে বিকল্পধারা নামক অদৃশ্যমান একটি দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বার হিসেবে সরকারি দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হবার পর দেখলাম কুলাউড়ার সেই ঐতিহ্য আজ এক ব্যক্তির কারণে ধ্বংস হতে চলেছে,
রাজনৌতিক প্রতিপক্ষ কে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করার ব্যর্থ প্রয়াস হলো ভুতুড়ে মামলা, সাজানো মামলা দিয়ে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ কে পুঁজি করে এক তরফা মাঠ দখল করে পুরোনো কায়দায় নির্বচিত হয়ে আসা, এবং মানুষের ভোটাধিকার কে আবারো হরণ করা,এই প্রক্রিয়াটা কোনো বিবেকবান মানুষ মানতে পারেন না,
এবং পারেন না বলেই বিদেশে অবস্তানরত প্রবাসী আমরা যারা আপনাদের সন্তান, ভাই ,বন্ধু আমরা আমাদের পরিবার, রাজনৈতিক সহকর্মী দের হয়রানিমূলক আচরণ কে আপনাদের সামনে তোলে ধরতে চাই,, এই কয়ে দিনে ৪নম্বর জয়চন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা কোমর উদ্দিন আহমেদ কমরু, হাজীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী , মইনুল হক বকুল ,আব্দুল মুহিত বাবলু, ইব্রাহিম লিলেস,সহ আরো কয়েকজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে,
এবং আরো ও দুই শতাধিক মানুষ কে আসামি করা হয়েছে, পুলিশ এদেরকে নির্বাচনের মাঠে কাজ করতে দিচ্ছেনা ,আমি ব্যক্তিগত ভাবে গত ৫বছর ধরে দেশে আসতে পারছিনা, এই বিগত পাঁচ বছরে ডিবি আমার মতো একজন নগন্য মানুষের জন্য খোঁজ খবর অনেক বার নিয়েছে আমার পুরোনো রাজনৈতিক সহকর্মী বন্ধুবান্ধব দের কে অনেক বার আমার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য ডেকে নিয়েছে,এমতাবস্তায় আমি আমার পরিবার পরিজন কারো সঙ্গেই দেশে গিয়ে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারছিনা এমনকি আমার ছোটভাইয়ের মৃত্যুর পর তাঁর কবর জিয়ারতের ও সুযোগ আমার হয় নি?
আমি জানিনা আর কবে দেশে যাবো, প্রিয়জন প্রিয় মানুষদের কে দেখতে পারবো গ্রামের রাস্তায় হাটতে পারবো মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নিতে পারবো,আমার অপরাধ একটাই আমি বিএনপি করি, দেশে বিদেশে বর্তমান সরকারের অবৈধ কর্মকান্ডের সমালোচনা করি,টিভি টকশো তে অংশ নেই,লেখালেখি করি, শুধু মাত্র এই কারণেই আমি সহ বিদেশে অবস্থানকারী বিএনপি ঘরানার বেশ কিছু মানুষ ঘোষিত অঘোষিত ভাবে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ,
আপনাদের একটি মাত্র ভোট আমাদের এই হৃৎ অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে,একটি ভোট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে মুক্ত করতে পারে, দেশনায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কে ত্বরানিত করতে পারে, তাই শত প্রতিকূলতা স্বত্বেও আপনাদের সন্তান হিসেবে, ভাই বন্ধু হিসেবে জন্ম মাটিতে নির্বিঘ্নে পা রাখার আকুতি নিয়ে করজোড়ে আপনাদের কাছে ধানের শীষের জন্য একটি ভোট ভিক্ষা চাচ্ছি ,আমরা চাই দেশের উন্নতি দেশের মালিক জনগণ, এই জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরে আসুক,
লন্ডন, ইউকে থেকে শরীফুজ্জামান তপন চৌধুরীর আহবান
শেয়ার করুন