মৌলভীবাজার-৩,আসনে বিএনপির প্রার্থী নাসের ভোট কারচুপি ও নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখানের দাবি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার-রাজনগর) আসনে বিএনপি মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ এম নাসের রহমান ভোট কারচুপিপূর্ণ নির্বাচন প্রত্যাখান করে বানোয়াট ফলাফল বাতিলের দাবী জানান।
৩১ডিসেম্বর সোমবার বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দানস্থ নিজ বাসভবনে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এটি ইতিহাসের জঘণ্যতম নির্বাচন। পৃথিবীর আর কোন স্বৈরাচার কর্তৃক এ ধরনের নির্বাচনের কথা কেউ শুনেনি।
এম নাসের রহমান লিখিত বক্তব্য বলেন, নির্বাচন ইতিহাসে এই প্রথমবার পুলিশের মাধ্যমে সরাসরি কেন্দ্র দখল ও জাল ভোট প্রদানের অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য কান্ড ঘটেছে যা নির্বাচনী সুষ্টু পরিবেশকে কুলষিত করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, এ আসনে ১৬৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির ঘটনায় সেনাবাহিনীকে অকার্যকর বাহিনী হিসেবে রেখে দেয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ভোটের দিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ভোট চুরিতে নেমে পড়ে। এতে তারা জনগনের প্রতিরোধের মুখে পড়ে পেরে উঠতে না পেরে সদর থানার ওসি সোহেল এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ব্যালট পেপারে সীল মারা থেকে শুরু করে বাহির থেকে সীল মেরে আনা নৌকার ব্যালট কেন্দ্রের বাক্স ভরতে থাকে। তিনি বলেন, বেলা ১১টা পর্যন্ত মাঠের ভোটের আনুপাতিক হিসেবে নৌকা প্রতীক ৬০-৬৫ হাজার ভোটের বেশী ভোট পাওয়ার কথা না এবং যেখানে ধানের শীষ প্রতীক ২লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার কথা সেখানে আওয়ামীলীগ, পুলিশ, বিজিবি র‌্যাব একজোট হয়ে আমার নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দিয়েছে।
পুলিশ বিজিবির সদস্যরা দুই উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট দিয়েছে। গণনার আগে পুলিশ কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে এসেছে। অনেক কেন্দ্রে জাল ভোট গণনার ব্যালট সীটে আমার পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি।
নির্বাচন সুষ্ট হলে তিনি ১ লক্ষ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতেন বলে দাবী করেন নাসের রহমান। কিন্তু নির্বাচনের নামে এই প্রহসনের নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি এই বানোয়াট নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখান করে তা বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
এম নাসের রহমান অভিযোগ করেন, রাজনগর ও মৌলভীবাজারে নির্বাচনের আগের দিন থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা জেলা বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, সৈয়দ ফয়সল আহমদ, মশিদুল হোসেন, আব্দুস সহিদ মেম্বার, ফখরুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়। এছাড়া নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশের হয়রানী অবাহত আছে। সেকারণে নেতা কমীরা চরম আতংকে রয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এম এ মুকিত, আশিক মোশারফ, জেলা বিএনপি সিনিয়র নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাউর রহমান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি হেলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মামুনুর রশিদ, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ার আহমদ রহমান প্রমুখ।

শেয়ার করুন