সাইফুল ইসলাম
মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে ২লক্ষ ১১হাজার ৬শত ১৩ ভোট পেয়ে ৬ষ্ট বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ। আব্দুস শহীদ ১৯৯১ সালে মৌলভীবাজার-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে তিনি এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৯১- ২০০১ পর্যন্ত জাতীয় সংসদে হুইপ, ২০০১- ২০০৬ পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ২০০৯- ২০১৪ পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১০ম সংসদের তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পালন করছেন। তিনি সংসদ কমিটি, পিটিশন কমিটি ও কার্যপ্রণালী বিধি স¤পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলেরও তিনি সদস্য। এবার তাকে সরকারের পূর্ণ মন্ত্রী করার দাবি জানাচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলাবাসী।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ এ দুটি উপজেলা নিয়ে মৌলভীবাজার- ৪ আসন গঠিত। সিলেট বিভাগের বর্ষিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদকে উন্নয়নের রুপকার হিসেবে বলেন স্থানীয়রা। তিনি মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এলাকায় ব্যাপক বিদ্যুতায়নের কাজ করেন। সবশেষে শেখ হাসিনার সরকারের ১০ সংসদের সদস্য থাকবালীন সময়ে নিজ নির্বাচনী এলাকার শ্রীমঙ্গল উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন আর কমলগঞ্জ উপজেলাকে প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হওয়ার পথে রয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয় এবং কমলগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। গত ১০ বছরে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় প্রায় সোয়া ১১ শত কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেন। দুই উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী, সুধীমহল, ও সাধারণ ভোটাররা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি কে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। বিজয়ী হবার পরদিন থেকে নেতাকর্মী, সমর্থক, বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
দীর্ঘ ২৮ বছরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে তার অবদান। ১৯৯১ সালের প্রথম নির্বাচনে উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম, সাইফুর রহমানের সাথে মৌলভীবাজার-৪ আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তখন এম, সাইফুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হলে আলোচনায় সরব হয়ে উঠেন প্রবীন এ পার্লামেন্টারিয়ান। এলাকায় জনপ্রিয় এ নেতাকে সাধারণ মানুষ বারবার নির্বাচিত করেছেন। সাধারণ মানুষ এবার তাকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় দেখতে চাইছেন।
কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো: জুয়েল আহমদ, কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান মিঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো: হেলাল উদ্দিন, রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল, লেখক-গবেষক আহমদ সিরাজ, আদিবাসী নেতা পিডিশন প্রধান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ সাংবাদিক নুরুল মোহাইমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল প্রমুখ বলেন, ‘ উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদকে আমরা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্য হিসেবে সর্বাধিকবার নির্বাচিত করেছি। মন্ত্রী হওয়ার সকল যোগ্যতা উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ এর মধ্যে রয়েছে। সৎ, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী এ জনপ্রতিনিধি শিক্ষাগত যোগ্যতায় বর্তমান অনেক মন্ত্রী থেকে এগিয়ে রয়েছেন। তাকে মন্ত্রী করা সময়ের দাবি।’
উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদের হ্যাট্রিক বিজয়ের পর নির্বাচনী এলাকায় দলীয় লোকসহ সর্বস্তরের জনসাধারনের মুখে গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে যে, তাকে এবার পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এলাকাবাসী বলছেন এই আসনে পর পর ৬বার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমরা প্রত্যাশা করছি তিনি আব্দুস শহীদকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই উপহার দিবেন।
৬ষ্ঠ বারের মতো নির্বাচিত সাংসদ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদকে পূর্ণ মন্ত্রী করার দাবি মৌলভীবাজারবাসীর
শেয়ার করুন