বিশেষ প্রতিনিধি:
গণফোরামের দুজন শপথ নেওয়া ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবো- ড. কামাল হোসেনের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্টু বলেন, ‘ইতিবাচকতা মানে এই নয় যে শপথ নেবে।’ মন্টু বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনৈক্য নেই। বরং গত ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের পর জনগণের ভোটের অধিকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগের চেয়ে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ আছে এবং থাকবে।
মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘আমরা আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সেদিনেই প্রত্যাখ্যান করেছে। এ প্রহসনের নির্বাচন আবারও প্রমাণ করেছে এদেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলনের কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।’ ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আগামী ৮ জানুয়ারি নতুন কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলেও জানান মন্টু।
ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘আগামী পরশু (৮ জানুয়ারি) আমরা আবার বসবো। সেদিন সিদ্ধান্ত হবে নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে।’
ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভাঙার কোনও প্রশ্ন আসে না। জনগণের স্বার্থে গণতন্ত্র রক্ষায় যে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে তা স্থায়ী থাকবে।’ এ সময় পাশ থেকে তার বক্তব্যে সমর্থন দেন মন্টু।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঐক্যফ্রন্টের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।