২৬ ও ২৭ জানুয়ারি হাকালুকি হাওরে দু’দিন ব্যাপী জলচর পাখি শুমারি

 

কুলাউড়া প্রতিনিধি॥ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর ও সবচেয়ে বড় অতিথি পাখির সমাগমস্থল হাকালুকিতে ২৬ শনিবার শুরু হচ্ছে দু’দিনব্যাপী জলচর পাখি শুমারি। পরদিন ২৭ জানুয়ারি রোববার শুমারি চলবে।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের খ্যাতিমান পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক ও পল থমপসনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্যরা পাখি শুমারিতে অংশ নেবেন। শনিবার সকাল থেকে দু’টি দলে ভাগ হয়ে হাকালুকি হাওরে পাখি শুমারিতে নামবে।

বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক জানান, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএসের ক্রেল প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে হাকালুকি হাওরে দু’দিন ব্যাপী পাখি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।

হাকালুকি হাওরটি কোন উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় অরক্ষিত হাওরে বিষটোপ আর ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করায় দিন দিন অতিথি পাখির সমাগম কমছে। মৎস্য অভয়াশ্রম থাকলেও সেই অভয়াশ্রমগুলোতে শিকারিরা হানা দেয়। হাওরের ইকো সিস্টেম রক্ষায় অবিলম্বে হাওরকে উন্নয়ন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি হাওর তীরের মানুষের।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ০৩ ও ০৪ ফেব্রুয়ারি পাখি শুমারি শেষে পাখি বিশেষজ্ঞরা জানান, ৪৪ প্রজাতির ৪৫ হাজার ১শ পাখির মধ্যে হাকালুকি হাওরের হাওরখাল বিলে ১৫ হাজার ৭৩৫টি পাখি গণনা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে পিয়ং হাঁস (গ্যাডওয়াল) ৫ হাজার ৬৭৫টি।

২০১৮ সালে বিলুপ্ত প্রজাতির যেমন- বেয়ারের ভুতিহাঁস, মরচে রঙয়ের ভুতিহাঁস, দাগি রাজহাঁসের মত কোন পাখির দেখা মেলেনি দেশের সর্ববৃহৎ এই পাখির সমাগমস্থলে।

শেয়ার করুন