কমলগঞ্জে ভুয়া ওয়ারেন্টে ৭ ঘন্টা হাজতবাস!

মো: মোস্তাফিজুর রহমান,কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার):
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া ওয়ারেন্টে ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে ৭ ঘন্টা হাজতবাসে থাকতে হলো। রোববার ৩ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত সোয়া ৩ টায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার মো: ফজলুর রহমান (৪৫), নন্দগ্রামের আবু বক্কর (৪২) ও ইমরান আহমদ (৩৩) নামে তিনজনকে নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ আটক করে। নিদোর্ষ তিনজনকে আটকে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে ওয়ারেন্ট ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান জানান, রবিবার রাতে একটি ওয়ারেন্ট হাতে নিয়ে কমলগঞ্জ থানার শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ দল তার বাড়িতে উপস্থিত হয়। হঠাৎ করেই পুলিশ আসার কারণ জানতে চেয়ে অবাক হন ফজলুর রহমান নিজেও। পুলিশ বলে তার নামে ঢাকার কদমতলী থানা থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। তিনি পুলিশকে জানান, তার নামে কোন মামলাই নেই। রাত ৩.২০ মিনিটের সময় তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এভাবে একই ভূয়া ওয়ারেন্টে একই এলাকার নন্দগ্রামের আবু বক্কর (৪২) ও ইমরান আহমদ (৩৩) কে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ আটককৃত তিনজনকে এনে প্রথমে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। কমলগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ এই তিনজনকে গ্রহণ না করায় রাতেই তাদেরকে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির হাজতে রাখা হয়। সকালে খবর পেয়ে এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে এসে চ্যালেঞ্জ করলে পুলিশ ওয়ারেন্টটি ভূঁয়া বলে প্রমাণ হয়। পরে সোমবার দুপুর দেড় টায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, ঢাকার কদমতলী থানার ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলার ওয়ারেন্টটি আমাদের কাছে আসায় আমরা তাদেরকে গ্রেফতার করেছিলাম। পরে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে ভূয়া মনে হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কে বা কারা এই বিষয়টি করেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আরিফুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে পাঠানো একটি মামলার ওয়ারেন্ট বলে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। ওয়ারেন্টটি ভূঁয়া মনে হওয়ায় সোমবার সকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাদেরকে সম্মানের সঙ্গে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এ জাতীয় ভুয়া ওয়ারেন্টের কপি কিভাবে কমলগঞ্জে এসেছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

শেয়ার করুন