মৌলভীবাজার:
শ্রীমঙ্গলে পৌর এলাকায় উকিল বাড়ি সড়কের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আবারো চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে চোরেরা দোকানগুলোর তালা ভেঙে নগদ টাকা, বিভিন্ন মালামালসহ প্রায় সোয়া লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
বকুল আর্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ক্যামেরাসহ ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়েছে বলে জানান স্বত্ত্বাধিকারী বকুল রায়। একই মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় থাকা নাচের স্কুল ও পাশে থাকা পার্লার থেকে নগদ টাকাসহ প্রায় ৭৫ হাজার টাকার জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে দাবি করেন এ দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী।
ব্যবসায়ী বকুল রায় বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় যাই। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় দোকান খুলে দেখি সব মালামাল এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। আমার একটি মূল্যবান ক্যামেরাও দোকানে ছিলো সেটিও চোরেরা নিয়ে গেছে। পরে চুরির বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করি।
তবে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে চুরি হওয়া এই মার্কেটে সিসি টিভি ক্যামেরা বা নিজস্ব কোনো নৈশপ্রহরী নেই।
উল্লেখ্য, হঠাৎ করে শ্রীমঙ্গল পৌর শহরে চুরি বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ ও শঙ্কা বেড়ে গেছে। গত ৩১ জানুয়ারি বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে শহরের চৌমুহনা এলাকা থেকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার অফিস সহকারী অসীম রায়ের ডিসকোভার ১৩৫সিসি (রেজি নং মৌলভীবাজার-ল- ১১১২১৯) মোটরসাইকেল চুরি হয়।
এর আগে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের ৪টি সরকারি কার্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। তবে চারটি কার্যালয়ের মধ্যে শুধুমাত্র মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়। অন্য তিনটি অফিস সমাজসেবা, পরিসংখ্যান ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে জানালা ভেঙে প্রবেশ করে মূল্যবান জিনিসপত্র তছনছ করে পালিয়ে যায়।
এদিকে শহরের একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক অভিযোগ করেন, শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ সড়কে পৌরসভার মহসীন অডিটোরিয়ামের পেছনের একটি বাসায় প্রতিদিন আন্তঃজেলার জুয়াড়িদের দিনভর জুয়ার আসর বসে। এ জুয়ার আসরে প্রতিদিন ১০/১৫ লাখ টাকার খেলা হয়। এতে স্থানীয়রাও অংশ নেয়। হয়তো এসব জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়েই শহরে চুরির ঘটনা বেড়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, চুরির ঘটনাটি জানতে পেরেছি। শহরে ছিচকে চুরি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে আমার মনে হচ্ছে রেলস্টেশনের বিচ্ছুবাহিনীটা আবার অ্যাটাক করছে। ছোট ছোট ছেলেগুলো ট্রেনে করে আসে, আর চুরি করে চলে যায়। আমরা এ ব্যাপার সতর্ক রয়েছি। আমি নিজেও গভীর রাতে বের হই।