সাইফুল ইসলাম.
আজ রবিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফালগুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এসে দেখা মিলেছে সেই শীতের অনুভূতি। শহরের তুলনায় চা বাগান ও হাওর এলাকায় সেই শীত প্রাকৃতিক কারণেই অনেক বেশি।
এদিকে আজ রবিবার সকালে মৌলভীবাজার জেলায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চা গাছে নতুন কুঁড়ি দেখা যাবে বলে আশা করছেন চা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের অবজারভার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে শীত একটিু বেশি। আজ শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড হয়েছে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে তিনি জানান।
এছাড়াও সকাল ৬ টা থেকে ৮টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় শ্রীমঙ্গলে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির রেশ আরও কদিন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে শিলা ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দুই এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেও দিন ও রাতের বেলা তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
ইস্পাহানি মির্জাপুর টি কোম্পানির শ্রীমঙ্গলস্থ জেরিন চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো.সেলিম রেজা বলেন,এই সময়ের জন্য ভারী বৃষ্টিপাত হলে চায়ের জন্য সুদিন। তারপরও আজ সকালে সামন্য বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে চা বাগানে চায়ের নতুন কুঁিড় দেখা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.শাহজাহান বলেন,যে-পরিমাণ বৃষ্টি তাতে ফসলের উপকারী। তিনি আরও বলেন,এখন তো মাঠ শুকনা,যদি আরও বৃষ্টিপাত হয় তাহলে সব ফসলের জন্য গুরুত্ব বহন করবে।’