ছয়ফুল আলম সাইফুল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর-পীরেরবাজার সড়কে ময়না বুড়ির ঘর সংলগ্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বরযাত্রীবাহী ১০টি গাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় ডাকাতরা ৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে বরযাত্রীদের নগদ অর্থসহ একাধিক মোবাইল ফোন ও মহিলাদের স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮ (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টায় এ ঘটনাটি ঘটে।
ডাকাতির খবর পেয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে বরযাত্রীদের উদ্ধারে গেলে ডাকাতদল তাদের উপর হামলা চালিয়ে দ্বিতীয় দফা ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে আহত করে। আহতরা রাতেই বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডিসপেন্সারীতে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। শমশেরনগর ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান চৌধুরী ও ব্যবসায়ী আনোয়ার খান বলেন, খবর পেয়ে পিকআপসহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাবার কিছু দুরে পুলিশ থেমে যায়। এ সময় একটু এগিয়ে গেলেই ডাকাতদল তাদের উপর আবার হামলা চালিয়ে দুই দফায় নগদ অর্থসহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নেয়। তাছাড়া প্রাইভেট কারও ভাঙ্গচুর করে। ব্যবসায়ী আনোয়ার খান ও আবু বক্কর সিদ্দিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। ইউপি সদস্য আজিজ, ব্যবসায়ী আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ না বললে তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতেন না।
বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে বিক্ষোব্ধ লোকজন শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এসে জড়ো হন। পরে কমলগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। শমশেরনগর ফাঁড়ির এস.আই. শাহ আলম বলেন, মোবাইল ট্রাকিং করে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তবে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, খুব গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের ধরার ও লুন্ঠিত মোবাইল ফোনগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে টহলে ছিল। আর পুলিশ ফাঁড়িতে যে কয়েকজন সদস্য ছিল তারাই সেখানে গিয়েছিল। তবে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ভুমিকা রহস্যজনক বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।