অপরাধ প্রবণতা বন্ধে উদ্যোগী হতে হবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের

বিশেষ প্রতিনিধি.
বহির্বিশ্বে দেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শুধু তাই নয় পরবাসে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখছে এসব শ্রমিক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী শ্রমিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদের সিংহভাগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মরত।
বিদেশের মাটিতে আমাদের শ্রমিকদের সফলতা যেমন দেশের সুনাম বৃদ্ধি করে, তেমনি শ্রমিকদের কোন অপকর্ম দেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন করে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী এক টেক্সি চালক তার গাড়িতে ফেলে যাওয়া যাত্রীর মূল্যবান সম্পদ ফিরিয়ে দিয়ে যখন বিদেশী সংবাদপত্রের শিরোনাম হন, তখন দেশের ভাবমূর্তি আকাশছোঁয়া উচ্চতায় পৌঁছে যায়, আমরা খুব গর্বিত বোধ করেছি তখন। এছাড়াও জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা যখন সাফল্য অর্জন করে তখন বিশ্বের দরবারে জাতি হিসেবে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হয়। আবার যখন শুনছি স্পেনে লিগ্যাল হওয়ার জন্য সমকামী বিয়েতে জড়িয়ে পড়েছেন বাংলাদেশী । তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হওয়ার পাশাপাশি আমরা খুবই ব্যথিত হয়েছি। গ্রামের অশিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত সহজ-সরল যুবক জীবনের টানাপোড়েন মিটাতে আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে হাজার হাজার মাইল দূরে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে হঠাৎ কেন জঘন্য অপরাধ প্রবণতা ও ইসলাম বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
ইউরোপে সমকামিতা বৈধ হলেও ইদানিং অনেক বাংলাদেশি এই জঘন্য কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছে। এরকমই একজন ফিরোজ হাওলাদার। তার গ্রামের বাড়ী চরবংশী, খাসেরহাট বাজার, চরবংশী ২নং ইউনিয়ন, রায়পুর, আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের ছেলে। স্পেন থেকে মো.রায়হান জানান. প্রবাসে অতি লোভী বাংলাদেশী নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হচ্ছে।
সরকার যদি সুদৃষ্টি দিয়ে শিক্ষার মাধ্যমে এসব যুবককে দেশের মাটিতে কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করতো তাহলে যুব সমাজকে বাইরে গিয়ে এসব অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত রাখা যেত বলে তিনি মনে করেন।
শেয়ার করুন