সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যলট বাক্স ভর্তি করে সরকারের পৃষ্টপোষকতায় নির্বাচন কমিশন জাতিকে এক লজ্জাজনক এবং কলঙ্কজনক নির্বাচন উপহার দেয়। যা দেশ, জাতি ও দেশের গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকী হিসেবে দেশে-বিদেশে স্বীকৃত। এই অন্যায়কে আড়াল করতে তড়িগড়ি করে দেশে উপজেলা নির্বাচনের আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির কোন নেতাকর্মী অংশ নিতে পারবেননা মর্মে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সেই নির্দেশ অমাণ্য করে কিছু বিচ্ছিন্ন নেতাকর্মী বিভিন্ন স্তরে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন। দলের হাইকমান্ড তাদের চিহিৃত করে বহিষ্কারের তালিকা প্রকাশ করেছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৮ মার্চ। সেই নির্বাচনে কুলাউড়া বিএনপির কোন নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশকে মাণ্য করে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচনের কোন পর্যায়ের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদল। এখন থেকে উপজেলার নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রচারণায় ছাত্রদলের কোন নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসারে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাঁকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হবে। গত ৫ মার্চ ২০১৯ইং রাতে একটি হোটেলে কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম ফয়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এম গিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এক জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। –প্রেস বিজ্ঞপ্তি