আব্দুস শহীদ এমপির বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের যত সব অভিযোগ ! কমলগঞ্জে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কমলগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোঃ রফিকুর রহমান স্থানীয় এমপি সাবেক চীফ হইপ উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন।
তবে স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ  বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,আমিতো আমার নির্বাচনী এলাকায় নেই।’
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার নছরতপুর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক মো.রফিকুর রহমান।
লিখিত বক্তব্য রফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন ।
স্থানীয় সরকার কাঠামোর অন্যতম অংশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে কমলগঞ্জে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধিতা করছি।
কিন্তু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার সাথে প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এর আপন ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল।
ছয় বারের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত এমপি আব্দুস শহীদ তার নিজ ভাই ইমতিয়াজ আহমদ এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
নৌকার বিরুদ্ধে প্রচারনা চালাচ্ছেন। সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উন্নয়ন কাজের প্রতিশ্রুতিসহ আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহন করছেন।
তিনি বলেন, এমপি সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে কমলগঞ্জের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতিসহ নানাভাবে নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের তার ভাইয়ের পক্ষে আনার চেষ্টা করছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত ও নৌকা মার্কার একজন এমপি হয়ে তিনি আজ আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলের নেতাকর্মীদেরও দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বানসহ নানা অপচেষ্টা করছেন এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। আব্দুস শহীদ এমপি নিজ এলাকায় অবস্থান করে তার ভাইকে কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার যে নানামুখী তৎপরতা করা একজন সংসদ সদস্য হিসাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও সামিল।
আগামী ১৮ মার্চ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ার আশা ব্যক্ত করে অধ্যাপক রফিকুর রহমান আরও বলেন, সংসদ সদস্যের আচরণবিধি লঙ্ঘনের এসব অভিযোগ বিষয়ে গত ৫ মার্চ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সংসদ সদস্যের এসব কর্মকান্ডের তিনি তীব্র নিন্দা জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সম্পাদক মোশাহিদ আলী, পৌর কাউন্সিল রাসেল মতলিব তরফদার ও জাতীয় পরিবহন শ্রমিক লীগের আহবায়ক হেলাল মিয়া প্রমুখ।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মো.রফিকুর রহমান এর আনীত আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ সর্ম্পকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এমপি মোবাইল ফোনে বলেন,‘সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ও সভা সমিতিতে উপস্থিত থাকলেও নিজের ভাই প্রার্থীর পক্ষে কোন প্রচারণা করিনি। এছাড়াও কোন চেয়ারম্যান/মেম্বারদেরকে নির্বাচন বিষয়ে কোন চাপ দেওয়া হয়নি। নিজ বাড়িতে আসার পর একজন সাংসদ হিসেবে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ নানা পেশার মানুষজন উন্নয়ন কর্মকান্ডে দেখা করতে আসতে পারে এটাই স্বাভাবিক।’
তিনি আরও বলেন,‘অভিযোগ রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাসহ স্থানীয় প্রশাসন সবাই জানেন, গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন ‘রফিকুর রহমান’ আমিতো কারো কাছে বিচার প্রার্থী ও কাউকে বলিনি। এখন তো আমি এলাকায় নেই,তাহলে কিভাবে ভাইয়ের পক্ষে প্রচারণা করলাম। তিনি বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে আহবান করেছেন।’
শেয়ার করুন