কমলগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু!

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাসটিলা গ্রামে বুলবুল আহমদ (২৩) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ না করেই পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের পূর্বেই পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়।
পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল দেখে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতি দেয়নি। নিহত যুবক ওই গ্রামের উস্তার মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, নিহত যুবক শুক্রবার রাতে নিজ বসত বাড়ীতে আতœহত্যা করেছে বলে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন।পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দিয়ে সুপারিশ করিয়ে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করার অনুমতি নেয় পরিবারের লোকজন।
এদিকে যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিলে তড়িঘড়ি করে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয়-স্বজন উদ্যোগ নেয়। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ধ¤্রজাল সৃষ্টি হলে বিষয়টি আবারো পুলিশকে অবহিত করা হয়।
৯ মার্চ শনিবার দুপুরে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক চম্পক দামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম লাশ দাফনের কিছুক্ষণ পূর্বে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। নিহত যুবকের ঘাড় ও গলায় আঘাতে চিহ্ন দেখে মৃত্যুর কারণ ও ফাঁস লাগানোর আলামত কোথায় এমন প্রশ্নে পরিবারের লোকজন মুখ না খুললেও তার তার দুই ভাই বদর ও মামুন রহস্যজনক আচরণ করায় পুলিশের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে লাশ দাফনের অনুমতি না দিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এব্যাপারে কমলগঞ্জ উপ-পরিদর্শক চম্পক দাম বলেন, নিহত যুবকের ঘাড় ও গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ন অবস্থায় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।’
কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান, আগামী ২৯ মার্চ বুলবুলের বিয়ে হওয়ার কথা, তবে এর আগেই কেন আতœহত্যা করলো সেটাই ভাবার বিষয়।’
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘রাতে আমাদের স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার কথা বলায় আমরা অনুমতি দিয়েছি। সকালে যখন শুনেছি ফাঁস লাগানোর কথা তখন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ফেলে বুঝা যাবে এটি হত্যা না আতœহত্যা। এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা রুজু হয়েছে বলে তিনি জানান।’
শেয়ার করুন