নিজস্ব প্রতিনিধি, কুয়েত:
বাংলাদেশ কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কুয়েত কর্তৃক আয়োজিত কুয়েত প্রবাসী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান কল্পে গতকাল রাত ৮:৩০ মিনিটে কুয়েত সিটিস্থ রাজধানী হোটেলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো: ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ভূলু’র উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মো: আনিসুজামান (দূতালয় প্রধান) কাউন্সিলর (পোল) মঞ্চে ছিলেন জালালবাদ স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি মো: শওকত আলী, খুলনা ক্লাবের হাফেজ উদ্দিন সহ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
কুয়েত প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ফ্যামিলী ফোরামের সভাপতি আব্দুল হাই, দেশদিগন্ত অনলাইন ও দৃষ্টিনন্দন সিলেটের সম্পাদক শেখ নিজামুর রহমান টিপু , বরিশাল সমিতির পক্ষ থেকে কোরবান আলী, চাঁদপুর সমিতির পক্ষ থেকে কবির আহমেদ, চট্রগ্রাম সমিতির পক্ষ থেকে তৌহিদ আহমেদ, কুমিল্লা সমিতির পক্ষ থেকে কামাল হাসান, সিলেটের পক্ষ থেকে মাহফুজ আহমেদ প্রমূখ।
প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের দাবী উপস্হাপন করে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ভূলু। তাঁর বক্তব্যে নিম্নোক্ত দাবীসমূহ উত্থাপিত হয় – (১) কুয়েতে নতুন করে শ্রমিক আনার প্রয়োজন আছে কি না, (২) আকামা বিহীন বা অতিরিক্ত শ্রমিক থেকে থাকলে তাদের সৃস্ট সমাধানের করা, (৩) লামানা বা বিশেষ পদ্ধতির ভিসা ইস্যু বন্ধ করে সরাসরি কোম্পানীগুলোর প্রয়োজনীয় ভিসা ইস্যু করা, (৪) কমপক্ষে ৫ বছর পূর্ণ মেয়াদে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করতে হবে, (৫) চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পূর্বে শ্রমিকদের ফেরত পাঠাতে হলে ৫ বছর মেয়াদের বেতন ও এয়ার টিকেট সহ ফেরত পাঠাতে হবে, (৬) এয়ারপোর্টে নামার সাথে সাথে একটি আইডি কার্ড প্রধান করতে হবে, (৭) শ্রমিকদের বেতন ব্যংকে দেওয়ার কথা থাকলেও, ব্যাংকের কার্ড কোমেপানীর হাতে রেখে দিয়ে হয়রানী বন্ধ করতে হবে, (৮) দুই দেশের সরকার অনুমোদিত লাইসেন্সধারীগণ শ্রমিক আনতে এবং পাঠাতে পারবে, তাদের নাম ঠিকানা ছবিসহ দূতাবাসে লাগানো থাকবে, (৯) ব্যাংকের লোনসহ প্রবাসীদের নানাবিদ সুযোগ-সুবিদা পাওয়ার লক্ষ্যে একজন প্রতিনিধি প্রেরন করা যেতে পারে।
দাবী-দাওয়ার প্রতিউত্তরে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে মো: আনিসুজামান (দূতালয় প্রধান) বলেন, আপনাদের দাবীসমূহ আমি শুনলাম এবং আপনাদের দাবী-দাওয়াসমুহ পেপার আমি রাষ্ট্রদূত মহোদয়ের অনুমোদনক্রম বাংলাদেশ মন্ত্রনালয়ে পাটাবো। তবে আপনাদের স্বরনে থাকতে হবে যে দেশে থাকবেন সেই দেশের আইনকে সম্মান রেখেই চলাফেরা করবেন। মনে রাখবেন আপনাদের চলাফেরা দেশের মূখ উজ্জল করবে এবং দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।