স্টাফ রিপোর্টার॥ এদেশে শত শত বছর ধরে আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা বসবাস করে আসছেন। কিন্তু তাদের জমির মালিকানা নেই। যার কারণে বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ আতঙ্ক নিয়ে তাদের প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করতে হয়। এ সমস্যার উত্তোরণ করে তাদের সমঅধিকান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামীতে আদিবাসীদের জমির মালিকানা দেয়া হবে।
২১ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় কমিটি-ককাস সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।
এসময় তিনি বলেন, আদিবাসীদের ধনীক শ্রেণীর নানা নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে। তাদের চাষযোগ্য জমি ও বসত ভিটে কেড়ে নেয়া হচ্ছে। তাদের উপর হামলা-মামলা চালানো হচ্ছে। কিন্তু কেউ যদি একাধারে কয়েকবছর কোন জমি ভোগ করে তাহলে তার দখলীস্বত্ত্ব থেকে তাকে তোলে দেয়ার কোন আইন নেই বাংলাদেশে। এটার ব্যতিরেক হলে তা মানবাধিকার লঙ্গন। তাদের জমির কাগজপত্র থাকেনা অনেকসময় সেজন্য তারা দুর্বলতায় ভোগেন। আগামীতে আমরা আদিবাসীদের জমির মালিকানা দেয়ার ব্যাপারে ভাবছি।
ককাস সভাপতি বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধের মূলনীতি ছিলো ‘ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন কিন্তু তিনি তা বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ধর্ম নিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর সমান অধিকার দিতে হবে। আদিবাসীরা আমাদের শত বছর আগ থেকে এখানে বসবাস করে আসছে তাদের কেন পেছনে রাখা হবে ?
এতে আরো বক্তব্য রাখেন আইপিএম ককাসের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মেসবাহ কামাল, আইপিএম ককাস সদস এ্যাড. গে¬ারিয়া ঝর্ণা সরকার, জান্নাত-এ-ফেরদৌসী এমপি।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দরখান ইউনিয়নে দত্তবসতি এলাকায় জুলেখানগর চা বাগান কর্তৃক স্থানীয় আদিবাসীদের উচ্ছেদ চেষ্টা ও তাদের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করতে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ককাস প্রতিনিধি দল।
এর আগে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে আদিবাসীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় ককাস প্রতিনিধি দল। এতে সরকার থেকে লিজ নেয়ার নামে আধিবাসীদের জমি দখলের চেষ্টা ও তাদের ৪ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে তদন্ত প্রবিবেদন জমা দিতে জেলা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
সূত্র.পাতাকুঁড়ি