শাকির আহমদ, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা :: ‘বিগত ১৮ বছর পূর্বে এমপি থাকাবস্থায় কুলাউড়ার যে উন্নয়ন হয়েছিলো, পরবর্তী সময়ে কুলাউড়া উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। পিছিয়ে পড়া উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আমি সংসদে কুলাউড়ার জনগনের প্রতিনিধিত্ব করছি। তাই এই উন্নয়নে স্থানীয় সকলের সহযোগিতা কামনা করে নিজের অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।’
রোববার (২৪ মার্চ) নিজ নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ইয়াকুব-তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বার্ষিক মিলাদ মাহফিলের আগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ডাকসুর সাবেক ভিপি, সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন ‘বাংলাদেশে কি হলো না হলো সেটা আমার দেখার দরকার নাই, আমার নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেটা আমার দেখা বিষয়। কুলাউড়ার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে কোন মাদকের স্থান হবে না। কোন ইভটিজিং হবে না, স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে অভিভাবকদের যাতে দুশ্চিন্তায় থাকতে না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন ‘কুলাউড়ার শান্তিপ্রিয় মানুষ গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শত প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে যে আকাঙ্খা নিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছে আমি তাদের সেই চাহিদা পূরণে বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, আমার আদর্শ জনগনের কল্যাণ করা। তাই, কুলাউড়ার উন্নয়নে মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় কোন অন্যায়ের সাথে আপোস করব না।’
দেশের স্থপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমেরিকায় যেমন জর্জ ওয়াশিংটনকে, চীনে মাও সেতুং, ভারতে মহাত্মা গান্ধী, পাকিস্তানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে তাদের নিজেদের দেশে দল-মতের উর্দ্ধে উঠে দেশের স্থপতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ঠিক এমনভাবে আমাদের দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের স্থপতি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, সাবেক এমপি মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সুলতান মনসুর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিযোগিতার যুগে মেধার কোন বিকল্প নেই। কুলাউড়াকে আগামীতে আলোকিত করতে মেধাবীদের এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের নিরাপত্তা ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করে দুর্নীতিমুক্ত ও নেশামুক্ত কুলাউড়া গঠনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সভার শুরতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া থানার নবাগত ওসি ইয়ারদৌস হাসান।
অনুষ্টানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম, প্রবীণ রাজনীতিবিদ গিয়াস উদ্দিন আহমদ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আইয়ুব উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার, জিবি সদস্য গৌরা দে, উপাধ্যক্ষ এমদাদুল ইসলাম ভুট্টো, কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য সজল, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম. শাকিল রশীদ চৌধুরী, সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখশ প্রমুখ। পরে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে হামদ-নাত, ক্বেরাত ও গজল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাও. মুফতি আহসান উদ্দিন।