শাকির আহমদ :: ‘বিবেক, বুদ্ধি ও ভালোবাসা দিয়ে একটি নির্ভেজাল, সুশৃঙ্খল সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সুশিক্ষার পাশাপাশি সুন্দর, সভ্য ও প্রীতিময় সমাজের অনেক বড় আশা। সমাজের ব্যক্তিগত একটি চরিত্র হলো অনেক বেশী আশা করা। আমার লেখা জ্যোর্তিময়ীর স্বপ্নভঙ্গ লেখণীতে ভালোবাসা, বিবেক ও স্বেচ্ছাচারিতার বিস্তর আলোচনা করেছি। স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতা এক নয়। স্বাধীনতা মানে এটা নয় আপনি যা ইচ্ছা তাই করবেন। স্বাধীনতা মানে হলো নিজের সবটুকু ভালোভাবে দেখা এবং তা উপস্থাপন করা।’
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সিলেট ম্যাটস্ এবং সিলেট মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন লাইলাক কমিউনিক্যাশন লিমিটেড এর চেয়ারপার্সন ও সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাক পত্রিকার সম্পাদকমÐলীর সভাপতি বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কলামিষ্ট সেলিনা চৌধুরী। সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ এ্যলিগ্যান্ট মার্কেটে অবস্থিত সিলেট ম্যাটস্ এর কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আজকাল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদেরকে জাতীয় সংগীত ভুলভাবে শিখাচ্ছে। এটা ঠিক না। একটা দেশের জাতীয় সংগীত অনেক আবেগের, ভালোবাসার। তাই শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত চর্চা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় রাস্তার উপর বসে থাকা একটি সাপের লেজে পা দিলে আপনাকে সে ছোঁবল মারবে, আর যদি নীরবে পাশ কাটিয়ে হেঁটে চলে যান সে কিছুই করবে না। তাই মনে রাখতে হবে সমাজে চলার পথে কাঁদা থাকবেই, সেই কাঁদার ছিটা যেন তোমার গায়ে না লাগে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’
সিলেট ম্যাটস্ ও সিলেট মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর উদ্দেশে তিনি বলেন, এসব সংগঠনের ভালোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা আমি করে যাবো। সংগঠনগুলোর ভবিষ্যৎ আরও দৃঢ় ও শক্তভাবে দাড় করাতে আমি সবধরণের সহযোগীতা করবো। স্বঃস্ফুর্তভাবে এসব সংগঠনের পরিচালনার ক্ষেত্রে আমি আমার হাত প্রসারিত রাখবো। এর শিক্ষা ও সংস্কৃতি স্বনির্ভর ও সুশৃঙ্খল হোক এটা আমি ও আমরা প্রত্যাশা করছি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, সিলেট ম্যাটস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিমলেন্দু দেব, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও মোটিভেশন স্পীকার এম এ কুদ্দুছ, সমাজসেবক বাবুল দেব প্রমুখ।