বিশেষ প্রতিনিধি.
বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ আগুন কেড়ে নিয়ে মাকসুদুর রহমান ও তার স্ত্রী রুমকি আক্তারের জীবন। হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন তারা। ওই ভবনের দশম তলায় ছিল এই প্রতিষ্ঠানের অফিস।
বৃহস্পতিবার ভবনটিতে আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টা পর আহত কয়েকজনকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে মাকসুদসহ তিনজন আগেই মারা গিয়েছিলেন বলে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। ওই তিনজনই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হন বলে তাদের ভাষ্য। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনায় দগ্ধ এক নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে গিয়ে রুমকি আক্তারের (৩০) লাশ শনাক্ত করেন ইমতিয়াজ নামে তাদের এক স্বজন। মাকসুদের খালাত ভাই ইমতিয়াজ বলেন, তার এই ভাই-ভাবী একসঙ্গে ওই ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন।
পুরান ঢাকার ফরিদাবাদে থাকতেন তারা। মাকসুদ ঢাকার ছেলে, আর রুমকির বাবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকায়। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে জানিয়ে ইমতিয়াজ বলেন, তাদের কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। মাকুসদের মা ও বোনকে নিয়ে তারা এক বাসায় থাকতেন।