শাকির আহমদ :: গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান সৈয়দা আমেনা ইয়াসমীন রাতুল। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের সৈয়দ বাড়ীর মেয়ে। তাঁর মৃত্যুতে তাঁর গ্রামের বাড়ি রামপাশায় চলছে শোকের মাতম।
তিনি ওই ভবনের ৭ম তলায় ফ্রেইড-ফরওয়ার্ডিং কোম্পানির ম্যানেজার ছিলেন।
সৈয়দা আমেনা ইয়াসমীন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সৈয়দ মহিউদ্দীন আহমদের ছোট মেয়ে। তারা দুই বোন ও এক ভাই। বড়বোন বর্তমানে সৈয়দা আমেনা তাসনিম অর্থমন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক পদে কর্মরত। ভাই সৈয়দ মোস্তফা মাহমুদ আহমদ চট্টগ্রামে অডিট বিভাগে প্রশাসনিক পদে কর্মরত। তিন ভাই-বোনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সৈয়দা আমেনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক-প্রশাসন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন।
দূর্ঘটনার খবর পেয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়। গ্রামের বাড়িতে ছোট চাচা সৈয়দ সালেহ আহমদ পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। সৈয়দা আমেনা ইয়াসমীন অবিবাহিত। তিনি ঢাকার সেনানিবাস এলাকার কাফরুলে মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করতেন।
শুক্রবার সৈয়দা আমেনা ইয়সমীনের চাচা সৈয়দ সালেহ আহমদ জানান, তাদের পরিবারের সবাই শুধুমাত্র ঈদের সময় বা কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠান হলে গ্রামের বাড়ি আসতেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর তার বাবা সৈয়দ মহিউদ্দীন আহমদ মৃত্যুর কথা জানিয়ে বলেন, বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। অগ্নিকাণ্ডের সময় আমেনা ইয়াসমীন বাঁচার জন্য সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টাকালে ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান।