সাইফুল ইসলাম,
বনানীতে এফ আর টাওয়ারের আগুনে ১১তলায় নিহত সৈয়দা আমিনা ইয়াসমিন রাতুল (৪৬) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর রামপাশা গ্রামের সৈয়দ বাড়ির বাসিন্দা।তবে গ্রামের তারা কেউ থাকেন না। জন্মের পর থেকে চাকুরীর সুবাধে স্বপরিবার ঢাকায় বসবাস। যৌথ সম্পত্তির বিশাল বাড়ি। বাড়িতে সুনসান নিরবতা। নিহতের চাচা সৈয়দ সালেহ আহমদ বিছনায় শুয়ে আহাজারি করছেন। ভাতিজির মৃত্যুতে তিনি শোকে মূহ্যমান।
সরেজমিনে আজ বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামপাশা গ্রামের সৈয়দ বাড়ি নিহত সৈয়দা আমিনা ইয়াসমিন রাতুল গ্রামে বাড়িতে গেলে কথা হয় তার চাচাতো ভাই সৈয়দ সালেহ আহমদের ছেলে সৈয়দ মোস্তফা মর্তুজার সাথে। তিনি জানালেন, তার মৃত্যুতে আমি বাকরুদ্ধ। তাদের আতœীয় স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছে। আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১.৪৫ মিনিটে রাজধানীতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী সদর দপ্তর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে বনানী কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার লাশ ঢাকা বনানীতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের বাপ- চাচা মোট ৭জন। তারা হলেন, বড় চাচা ক্যাপ্টেন (অব:) সৈয়দ মহি-উদ্দীন আহমদ,সৈয়দ মঈন উদ্দিন,সৈয়দ মোসলে উদ্দিন আহমদ,সৈয়দ সালেহ আহমদ,সৈয়দ সাইফু উদ্দীন আহমদ,সৈয়দ সোহেল আহমদ ও সবার ছোট চাচা নৌ-বাহিনীর কমডর সৈয়দ মিছবাউদ্দিন আহমদ। তার মধ্যে তার বাবা সৈয়দ সালেহ আহমদ শুধু বাড়িতে বসবাস করেন। আর বাকি সবাই সরকারী চাকুরী ও লন্ডনে বসবাস করছেন।
বড় চাচার মেয়ে নিহত সৈয়দা আমিনা ইয়াসমিন রাতুল। তারা দুই বোন ও ১ ভাই। নিহত আমিনা ভাই-বোনের মধ্যে বড়,তারপর সৈয়দ মোস্তফা মাহবুব ও ছোট বোন সৈয়দা আমিনা ফাহমিন।
আমার চাচার নেভীতে চাকুরী করতেন। সেই সুবাধে জন্মের পর থেকে তারা ঢাকায় বসবাস। বাড়িতে তারা কেউ থাকেন না। ঢাকায় বাসা-বাড়ি করেছেন। মাঝে মধ্যে তারা গ্রামের বাড়িতে আসেন।
নিহতের বাবার চাচাতো ভাই সৈয়দ হাকিম তাহমি বলেন,আমার ভাতিজি সৈয়দা আমিনা ইয়াসমিন (রাতুল) এফআর টাওয়ারের (১১তম তলা) ওসেন ফ্লাইট, স্ক্যানুয়াল লজিষ্টিক বাংলাদেশ(প্রাঃ) লিঃ এর ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আমার ভাতিজি কর্মজীবনে অবিবাহিত ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আনুমানিক দুপুর দেড়টায় এফ আর টাওয়াওে আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়। আজ শুক্রবার বাদজুম্মা নামাজ পর নৌ বাহিনী সদর দপ্তর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন তার চাচা নৌ-বাহিনীর কমডর সৈয়দ মিছবা-উদ্দীন আহমদ।’
এ ব্যাপারে নিহতের মাতা হোসনে আরা বেগম ও বাবা ক্যাপ্টেন (অব:) সৈয়দ মহি-উদ্দীনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তিনি ফোন রিসিভ না করায় প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।