কুলাউড়ায় গরু জবাই নিয়ে উত্তেজনা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের লোয়াইউনি চাবাগানের মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ সৈয়দ আহমদ চৌধুরী বাগানস্ত তার বাড়িতে গরু জবাইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছে।
এমন ঘটনা শোনার সাথে সাথে তাৎক্ষনিক তারা শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাজার জামে মসজিদের সামন থেকে ৫ শতাধীক মুসল্লিদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার প্রদক্ষিণ শেষে প্রতিবাদ পথসভা করেন। ওই পথসভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পথসভায় তারা ঘটনার সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,বাগান পঞ্চায়েত (হিন্দু) ও বাগান ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা লোকজনের বাগানের সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকদের খুশি করার এমন প্রহসনের বিচারেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান। এরপর এমন স্পর্শকাতর ধর্মীয় বিষয় নিয়ে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। মানুষের মধ্যে উত্তেজিত জনতাকে কুলাউড়া থানা পুলিশ ওই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে থানায় বসেন।
তিনি বলেন, গরুটি জবাই করার পর চা বাগানের সভাপতি অজিত কৈরী, অন্তু, বিশ্বজিৎ, রতনলালসহ শ’খানেক লোক লাটিসটা নিয়ে উপস্থিত হয়ে বলে আমি নাকি মরা গরু জবাই করেছি। আর আমি কেন ওখানে গরু জবাই করলাম এজন্য তারা আমার বাড়িও ঘেরাও করে রাখে। এসময় অন্তু গালিগালাজ করে আমার ঘরে দরজার পাশে এসে বলে ‘তুই ঘর থেকে বের হও’ তোকে আজ শেষ করে দেব। অন্তু একটি কাটের খাড়ি নিয়ে আমাকে মারতে আসে। আমার স্ত্রী আগলে ধরে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। পরে আমি প্রাণ বাঁচাতে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে মুসলিম পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সমছু মিয়ার দোকানে যাই। তারা দলবেধেঁ আমার বসত ঘরেও হামলা করে। এসময় তারা বলে হুজুরকে বিদায় করে দাও এবং মসজিদে যেন হুজুর আজান না দেয়। ঘটনার দিনই ইমামকে চাকরিচ্যুত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি বাগানের জিএমের কাছে গিয়ে বলেন তার চাকুরী ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
মসজিদের ইমাম আহমদ চৌধুরী বলেন, আমি যখন পালিয়ে সমসু মিয়ার দোকানে যাই তখন চা বাগানের শ্রমিকরা বাগানের জিএমের বাংলোতে এসে বিক্ষোভ করে। পরে এখানে সমছু মিয়া সহ মুসলিম পঞ্চায়েতের কয়েকজন লোক বাংলোতে যান। বাংলোতে জিএম শ্রমিকদের বুঝাতে ব্যর্থ হন। পরে সেখানে যান বাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমরুদ হোসেন। শ্রমিকরা চেয়ারম্যানকে বিচার করতে বলেন। এসময় চেয়ারম্যানসহ বাগানের জিএম মুসলিম পঞ্চায়েতের সভাপতি সমছু মিয়া সহ কয়েকজনকে দায়িত্ব দেন বাছুরটি মাটিতে পুঁতে ফেলার জন্য। পরে তারা এসে বাছুরটি পুঁতে ফেলেন।
শেয়ার করুন