ইদ্রিছ আলী :: এবাদতের মধ্য দিয়ে রাত জেগে সিলেটে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ পরিপূর্ণ মর্যাদার সাথে পবিত্র শব-ই-বরাত পালন করেছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওলিকুল শিরোমনি হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত শাহপরান (রহ.) ও সিলেটের প্রথম মুসলমান হযরত বোরহান উদ্দিন (রহ.) সহ অন্যান্য ওলি-আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করতে সিলেটে এসে ছিলেন ভক্তরা।
সিলেট নগরীতে প্রতিবছরের মতো এবারো ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল নেমেছে।
মহিমান্বিত এ রাতকে ঘিরে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীর প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। মসজিদ ছাড়াও বাসা বাড়িতে রাত জেগে নফল নামাজ আদায় ও মুসলিম নারী ও পরুষ রোজা রাখেছেন।
মসজিদের ইমাম ইমামগণ বলেন, পবিত্র শব-ই-বরাত,পবিত্র কুরআন হাদিসের অসংখ্য বর্ণনা অনুযায়ী মর্যাদাময় রাত। পবিত্র শবে বরাত যে মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বরকতময় ও ফজিলতপূর্ণ রাত এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। সকল অতীত ও বর্তমান মুফাসসিরীন ও মুহাদ্দিসীনে কেরাম এ রাতকে এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন। পবিত্র শব-ই-বরাত রাতে মানুষের বার্ষিক ভাগ্যলিপি লিখা হয় এবং বিগত বছরের আমলনামা আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। এক বছরের হায়াত মউত রিজিক দৌলত-, তথা ভাগ্য নির্ধারণ হয়। এই রাতে আল্লাহ পাক বান্দার দিকে বিশেষ রহমতের নজরে তাকান। এই রাতে ৭০ হাজার ফিরিস্তা নিয়ে জিব্রাঈল দুনিয়াতে আসেন এবং রহমত বণ্টন করেন। আরবের বণী কালব গোত্রের ৩০ হাজার বকরির পশমের সংখ্যারও অধিক গুনাহগারকে ক্ষমা করা হয় এ রাতে। এ রাতে কবিরা গুনাহ ব্যাতীত অন্যান্য গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং তওবা করলে কবিরা গুনাহগারকেও ক্ষমা করা হয়।
পবিত্র শব-ই-বরাত উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে রুটি, হালুয়া, সুজি বা গরুর মাংস রান্না হচ্ছে। এসব খাবার দাবার স্বজন বা প্রতিবেশীদের বাড়িতেও পাঠানো হয়েছে। নগরীতে মাজার ও গোরস্থানগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছিল।
ফজরের নামাজের পর মিলাদ মাহফিল শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনা করে মাজার ও প্রতিটি মসজিদেই মোনাজাত করা হয় ।
এদিকে মৌলভীবাজার জেলায় সবকটি উপজেলায় শবে বরাত পালিত হয়েছে।