প্রধানমন্ত্রীর কাছে নির্যাতনের বিচার চাইলেন মিলা

 

সংগীতের বাইরে অন্য একটি বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এলেন সংগীতশিল্পী মিলা। এ বিষয়ে কথা বলতে অঝোরে কাঁদলেনও এই তারকা। তুলে ধরলেন বিবাহিত জীবনে তার ওপর করা নির্যাতনের চিত্র।
তার সাবেক স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও এ সময়ে সামনে আনেন তিনি। দুই বছর অপেক্ষার পর এর বিচার চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
আজ (২৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রাজধানীর বেইলি রোডে একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় মিলার বাবা ও বোনসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক স্বামী ও তার পরিবারের করা নির্যাতনের কথা তুলে ধরে মিলা বলেন, ‘আমাকে প্রায় বাসা থেকে বের করে দিতো।’ এই কথা বলার পরই অঝোরে কাঁদা শুরু করেন মিলা।
কিছুক্ষণ পর এই তারকা বলেন, ‌‘দুই বছর অপেক্ষা করেছি। ভেবেছি এর প্রতিকার পাবো। তাই প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হইনি। কিন্তু এখন আর পারছি না। তাই মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ওপর করা অমানুষিক নির্যাতনের বিচার চাই। শুধু শিল্পী নয়, ২০১১ সাল থেকে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য। একজন কর্মী হিসেবেও এ দাবি আমার।’
তিনি জানান, পরিকল্পিতভাবে স্বামী বৈমানিক পারভেজ সানজারির বিরুদ্ধে করা মামলার ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। বলেন, ‘‘বিচার তো দূরের কথা, দাখিল করা ‘খ’ ধারার চার্জশিট আমাকে না বুঝতে দিয়ে ‘গ’ ধারায় মামলার চার্জ গঠন করা হয়। আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আমার জানা ছিল, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় কোনও রকমের হস্তক্ষেপে নেত্রীর কঠোর নিষেধ রয়েছে। তিনবার আদালতের আদেশ টানা অমান্য করলে জামিন বাতিল হওয়ার কথা। পাঁচবার আমাকে কোর্ট নানান বুঝ দিয়ে পার্মানেন্ট জামিন দেয়।’’
নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি যেদিন তাদের বাড়ি থেকে চলে আসি, আমার স্বামীর কথায় আমার শাশুড়ি আমাকে বাথরুম থেকে দরজা ভেঙে বিনা কাপড় অবস্থায় জঘন্যভাবে টেনে আমার দেবর, তার স্ত্রী এবং তার স্ত্রীর বাবা-মায়ের সামনে এক ঘণ্টা গালিগালাজ করেছেন। আমার বাবা ভাইবারে ভিডিও কলের মাধ্যমে পুরাটা ঘটনা দেখে। একপর্যায়ে আমি হাতজোড় করে ভিক্ষা চাই এই বলে, ‘আম্মু আমাকে মেয়ে বলে নিয়ে আসছিলেন, আমার গায়ে কাপড় নাই, দয়া করে আমাকে ঘরের দরজা বন্ধ করে যা বলার বলেন। কিন্তু এই অপমান করবেন না।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মে মাসে পারিবারিকভাবে বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিলা ইসলাম। বিয়ের পর তিনি গানে হয়ে পড়েন অনিয়মিত। জড়িয়ে যান সংসার জীবনের দ্বন্দ্ব-বিবাদে। নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে এনে স্বামী সানজারির বিরুদ্ধে মামলাও করেন তিনি। সবশেষে, সংসার জীবনের ইতি টানেন পপ গানের এই শিল্পী।
শেয়ার করুন