বড়লেখা প্রতিনিধি.
বড়লেখায় অপহরণের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ধান মিলেনি স্কুলছাত্রী লিপা রানী দাসের। এতে স্কুলছাত্রীর বাবা-মা-সহ স্বজনরা আজানা উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
গত ১৯ এপ্রিল অপহৃতা স্কুলছাত্রীর মা রীনা রানী দাস মুল অপহরণকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেছন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহপাঠী ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও দাসেরবাজার ইউনিয়নের টুকা গ্রামের মহেন্দ্র দাসের মেয়ে লিপা রানী দাস (১৫)। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তাকে উত্যক্ত করতো একই গ্রামের ছইয়ব আলীর বখাটে ছেলে শিমুল আহমদ (১৯)। রাস্তায় একা পেলেই সে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালাতো। স্কুলছাত্রী লিপা রানী দাস বিষয়টি বাবা-মাকে জানালে তারা এলাকায় বিচারপ্রার্থী হন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে বখাটে শিমুল লিপাকে অপহরণের হুমকি দেয়। গত ২৩ মার্চ কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সে স্কুলের সম্মুখ থেকে তাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। পথচারীরা এগিয়ে আসায় সেযাত্রা রক্ষা পায়। স্কুলছাত্রী লিপার বাবা মহেন্দ্র দাস অভিযোগ করেন এ ঘটনায় তার মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
গত ১২ এপ্রিল রাত আনুমানিক দশটার দিকে তার মেয়ে লিপা রানী দাস প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বখাটে শিমুল আহমদ কতেক সহযোগী নিয়ে জোরপুর্বক তাকে অপহরণ করে। প্রতিবেশিদের মারফত জানতে পারেন সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক ও অপহরণকারী বখাটে শিমুলের ভগ্নিপতি নজরুল ইসলাম স্কুলছাত্রীকে ফেরৎ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপনের মাধ্যমে অপহৃতা ও অপহরণকারীকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস জানান, স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য অন্তত পাঁচ জায়গায় তিনি অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু দ্রুত স্থান পরিবর্তন করায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। তবে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।