
মৌলভীবাজারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতি রীভা গাঙুলি দাস
সাইফুল ইসলাম.
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতি রীভা গাঙুলি দাশ বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক আজ খুবই নিবিড়।এই সম্পর্কের মূলে রয়েছে আমাদের অভিন্ন ইতিহাস সংস্কৃতি ভাষাও মূল্যবোধ। বিগত কয়েক বছরে প্রধান মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ককে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। যা প্রকাশ পেয়েছে দেশের র্শীষ নেতাদের নিয়মিত সফর বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা, যোগাযোগ সম্প্রসারণ, অর্থনেতিক সম্বনয় এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে ভারত সরকারের সহায়তায় নবনির্মিত মণিপুরি থিয়েটারের নটমন্ডপ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
রীভা গাঙুলী আরও বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ এবং এর নিকটবর্তী ভারতের বিভিন্ন রাজ্য একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশ।
গড় যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিকের মাধ্যমে এর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রসারের জন্য কাজ করছে।
সিলেট অঞ্চলে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারমধ্যে বিশেষ কয়েকটি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করি। ভারত মেঘালয় ডাউকিতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে জন্য একটি চেক পোষ্ট নির্মাণ করেছি। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে তামাবিল সীমান্তে নতুন স্থলবন্দর উদ্ধোধন করেছি। ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তে মৌলভীবাজারে দুইটি নতুন হাট নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। হাটগুলো এমন এলাকায় স্থাপিত হবে সেখানে পর্যাপ্ত বাণিজ্য সুবিধা নেই। উভয় দেশের সিলেট অঞ্চলের কনস্যুলার সীমা নিশ্চিত করতে সিলেট সহকারী ভারতীয় হাই কমিশন ও ভারতের গৌহাটিতে বাংলাদেশের একটি সহকারী হাই কমিশন স্থাপন করা হয়েছে। ভারত সরকার সিলেট ও মৌলভীবাজারে সাংস্কৃতিক সহযোগিতায় জনকল্যাণ ও নগর উন্নয়নের লক্ষ্যে বহু উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তা করছে। ভারতের সরকারের সহায়তায় নির্মিত মণিপুরী থিয়েটারটি এমনকি একটি উদ্যোগ। থিয়েটারটি উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি করবে। মৌলভীবাজার নাট্যঅঙ্গনকে আরো সস্মৃদ্ধ করবে। আমাদের দুই দেশের সাংস্কৃতিতে অনেক মিল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠীর কারণে এখানকার নিজস্ব সাংস্কৃতিক রয়েছে।
৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভারতের অর্থায়নে নির্মিত মণিপুরী থিয়েটার নটমন্ডপ উদ্বোধনকালে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার এল কৃষ্ণমূর্তি, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) সুমি আক্তার, ঢাকা বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়েরর নৃত্য বিভাগের অধ্যাপক তামান্না রহমান প্রমূখ। পরে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিদের নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে ঐতিহ্যবাহী বিষু উৎসব উদযাপন করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও মণিপুরী থিয়েটার বিষু উৎসবকে ঘিরে আয়োজন করেছে নানান অনুষ্ঠান। এতে রয়েছে নাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও মণিপুরিদের ঐতিহ্যবাহী নিকন (পাশা) খেলা।