কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক গ্রেফতার

কথিত প্রেমিক ধর্ষক শুকুর আলী

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ১৭ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী কথিত ধর্ষক প্রেমিক শুকুর আলী (৩৫)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার ১০ দিন পর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজার এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিক্সা থেকে তাকে রাজনগর ও কুলাউড়া থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রফতার করা হয়। এর আগে ঘটনার সাথে জড়িত অপর ৫ আসামীকে আটক করে পুলিশ।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রাশেদুল ইসলাম  শুক্রবার রাতে এতথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শুকুর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার ২৭ এপ্রিল তাকে মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া করা হবে।
গ্রেফতারকৃত শুকুর আলী জানায়, ধর্ষিতা ওই কিশোরীর সাথে তার দুই বছরের প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল।
কুলাউড়া ও রাজনগর থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ রাজনগর উপজেলা সদরে ছদ্মদবেশে অপেক্ষা করতে থাকে। শুকুর আলীকে বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সাকে সিগন্যাল দিয়ে থামায় পুলিশ।এসময় নিজের পরিচয় গোপন করলে ছম্মবেশী পুলিশ চ্যালেঞ্জ করে শুকুর আলীকে। একপর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সিএনজি অটোরিক্সা চালক হাসান মিয়া (২৫)-কে আটককেরে পুলিশ। তার দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পুসাইনগর ও জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্ত এলাকা থেকে দিলাল ওরফে বিলাল মিয়া (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (২৬), সুজন মিয়া (২২) ও সুফিয়ান মিয়া (২৫)-কে আটক করা হয়। এরমধ্যে দিলাল ও জাহাঙ্গীর দালালের মাধ্যমে চোরাই পথে ভারতে পালানোর চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়।
প্রসঙ্গত. ১৫ এপ্রিল সোমবার রাতে পৌর এলাকার ১৭ বছরের এক কিশোরীকে সিএনজি অটোরিক্সাতে তুলে নিয়ে কুলাউড়া-বড়লেখা সড়কের আশুরীঘাট এলাকায় নির্জন স্থানে ৭ দূর্বত্ত মিলে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে ওই কিশোরীকে হুমকি দেওয়া হয় এ ঘটনাটি কাউকে যেনো না বলা হয়। বললে ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়া হবে। পরদিন কিশোরীর মা বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় শুকুর আলীকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুন