মৌলভীবাজারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ এক বখাটের বিরুদ্ধে।
প্রথম সাময়িক পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটের বর্বর হামলার শিকার হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছামিরা আক্তার (১৪)। বখাটে জুয়েল (১৯)কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনসাধারণ।
২৭এপ্রিল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ঘাটেরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তির পর তার অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।
আহত শিক্ষার্থী ছামিরার চাচা মুজিবুর রহমান ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা সদরের আলহেরা ইসলামী কেজি স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছামিরা আক্তার স্কুলের প্রথম সাময়িকী পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সাদিপুর গ্রামের বকুল মিয়ার বখাটে পুত্র জুয়েল বটি দা (স্থানীয় ভাষায় আইদা) দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অতর্কিতে হামলা চালায়।
এসময় ছামিরার চিৎকারে আশপাশের লোকজন গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। পুলিশ জুয়েলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ছামিরার চাচা আরও জানান, ছামিরাকে আগে থেকেই উত্যক্ত করতো। সে স্থানীয় সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। কিন্তু জুয়েলের কারণে তাকে স্কুল পরিবর্তণ করে কুলাউড়া আলহেরা ইসলামি কেজি স্কুলে ভর্তি করা হয়। সেসময় থানায় একটি সাদারণ ডায়রিও করা হয়।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক জানান, ‘শিক্ষার্থীর মাথার ডান থেকে পেছনের দিকে কোপটা মেরেছে। এতে শিক্ষার্থীর ডান কান অর্ধেকটা ঝুলে গেছে। পেছন দিকে কোপের গভীরতা ২ইঞ্চি পরিমান। শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা রুজু হবে।
শেয়ার করুন