স্বামী-শ্বাশুড়ির নির্যাতনে এক সন্তানের জননীর মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্বামী সাইদুল ইসলাম লাকি (৩৫) ও শ্বাশুড়ি মমতা বেগম-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে এক সন্তানের জননী জনি বেগম (২২)-এর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন মেয়ের বাবা আবুল কালাম আজাদ।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে কুলাউড়া থানা প্রাঙ্গণে মেয়ের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে এসব অভিযোগ করেন তিনি। মেয়ের শ্বশুর কাইয়ুম মিয়ার বাড়ি কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কাজলধারা গ্রামের নওয়াগাঁও এলাকায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে জানি বেগমের মৃত্যু হয় বলে আবুল কালাম জানান।

বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গৌরীপুর ইউনিয়নের খায়স্থঘাট এলাকার আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকাল শনিবার কুলাউড়ায় ফারুক মিয়ার বাড়িতে শিরণীর দাওয়াতে এসেছিলেন তিনি। সেখান থেকে সন্ধ্যায় মেয়েকে দেখতে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান তিনি। মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখতে পেয়ে তিনি প্রশ্ন তুললে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জনি বেগমকে মৌলভীবাজারের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতেই আবার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তারা। একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের গলা টিপে তারা হত্যা করেছে, আমি এর বিচার চাই।

আবুল কালাম বলেন, ৪ বছর আগে কুলাউড়ার মেয়েকে সাইদুল ইসলাম লাকির সাথে বিয়ে দেই। তাদের দুই বছরের নাজমুস সাকিব নামে একজন সন্তান আছে। সাইদুল কয়েকমাস আগে থেকে অন্য একটি মেয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এর পর থেকে সে আমার মেয়ের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করতো। বাধ্য হয়ে আমার মেয়েকে চার মাস যাবৎ বাড়িতে রেখে দেই। কিন্তু গত ৩ মাস আগে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও আরও কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অনুরোধে তাকে আবার শ্বশুর বাড়িতে ফেরত দেই। এখন মেয়ের লাশ নিয়ে ফিরলাম।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি সন্দেহজনক। ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার বুঝা যাবে। তবে, জনির স্বামী সাইদুল ইসলাম লাকি প্রায়শই তাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিলে তা আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

কুলাউড়ায় স্বামী-শ্বাশুড়ির নির্যাতনে এক সন্তানের জননীর মৃত্যুর অভিযোগ

শেয়ার করুন