সাইফুল্লাহ হাসান.
মৌলভীবাজার শহরে প্রতিনিয়ত চলছে ফিটনেস বিহীন টমটম। ফিটনেসবিহীন এসব টমটম চালকরা নিয়ম-নীতির কোন তোয়াক্কা না করে সদর্পে তারা টমটম চালাচ্ছে। আর টমটমে ফিটনেস না থাকায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন পেশার চাকুরীজিবি ও বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা জনসাধারণসহ যাত্রীরা।
মৌলভীবাজার শহরে বহুল প্রচলিত বাহনের নাম ”টমটম”। স্কুল-কলেজ, কোথাও ভ্রমনে যেতে বাসা থেকে রাস্তায় বের হতে না হতেই মিনিট কয়েকের মধ্যে নিজের অজান্তেই সামনে এসে হাজির এই বাহন। বলা যায় টমটমের রাজত্বেই মৌলভীবাজার শহর।
কিন্তু এ টমটম কতটুকু নিরাপত্তাকারী বাহন হতে পারে, যেখানে নেই লুকিং গ্লাস, ব্রেক, সামনের গ্লাস, হেড লাইট, সিগনাল বাতি, সংযোক্ত নেই মিটার এবং সাইলেন্সারের বিকট আওয়াজতো আছেই। অবশেষে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছেন যাত্রীরা।
আর টমটমে লুকিং গ্লাস না থাকলে কিভাবে একজন চলক বুঝবে পেছনে কি কোন গাড়ী আছে! যে জন্য চালক বুঝতে পারছেনা পিছনে কি আছে। সমনের আরেকটি গাড়ীকে ওভারটেকিং করার সময় পিছনে যে গাড়ী আছে তা চালক বুঝে উটছে না। পিছনের গাড়ীটি গতিতে থাকলে অবশ্যই পিছন থেকে ধাক্কা দিতে বাধ্য ও বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।
সরেজমিন শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টমটম স্ট্যান্ডে গেলে দেখা যায় প্রতি ১০ টি টমটমের মধ্যে ২/১ টিরও লোকিং গ্লাস থাকলেও বেশির ভাগেরই নেই । আবার কিছু টমটমের লোকিং গ্লাসের স্ট্যন্ডে শুধু ফ্রেম লাগানো, কিন্তু নেই গ্লাস। আরও কিছু দেখা গেছে গাড়ীর ভেতরে ফিটিং করে রাখা হয়েছে এই লুকিং গ্লাস।
শিক্ষার্থী আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, আমাদের চলাফেরা করতে টমটম একটি ভালো বাহন। তবে টমটমের ফিটনেস না থাকায় অনেক ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
কলেজের শিক্ষার্থী আলী আহমেদ বলেন, প্রতিদিন কলেজে টমটম চড়েই যেতে হয়। এর মধ্যে অনেক টমটমেরই দেখি লুকিং গ্লাস নেই, তাদের উচিৎ যতো তড়াতাড়ি সম্ভব এই লুকিং গ্লাসটি লাগানো। তানা হলে যে কোন সময় আমরা দুর্ঘটনার শিকারও হতে পারি।
একজন টমটম যাত্রী বলেন, গেটগেটি শব্দর জ্বালায় টমটমে বওয়া যায় না। কান মগজ শেষ…!
শিক্ষার্থী রাসেল আহমদ বলেন, টমটমে থাকাসত্তে বৃষ্টি আসলে পুরোপুরি ভিজে যেতে হয়। বৃষ্টি আটকানোর জন্য কোনো ধরনের পর্দা জাতীয় কিছুই নেই।
যাত্রী অধিকার আন্দোলন মৌলভীবাজার শাখার আহ্বায়ক আশরাফ আলী বলেন, এখানে যে টমটমগুলো চলে তাতে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হয়। তবে অধিকাংশ গাড়ি ফিটনেসবিহীন। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কোন উদ্যোগ লক্ষ করা যায় না। কর্তৃপক্ষের উচিৎ ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো সড়কে চলতে না দেওয়া।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন কাজল বলেন, গাড়ীর ফিটনেস দেখার দায়িত্ব হলো বিআরটি এর। আমি শক্তভাবে আইন প্রয়োগ করতে গেলে সবার সাপোর্ট লাগবে। তবে আমরা তাদেরকে মামলা দিয়ে জরিমানা করে ছেড়ে দেই। আমি অ্যাকশন নেই, এখনো অ্যাকশনে আছি। টমটমগুলো আমাদেরকেও জ্বালাতন দিচ্ছে।