কুয়েত প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কুয়েত রাজ্যের আয়োজনে গত ৩০ মার্চ ২০১৯ (শুত্রুবার) রাত ৯ টায় সিটিস্থ রাজধানী হোটেল বলরুমে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দীন এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের সাবলীল সঞ্চালনায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবদী দল কুয়েত’র সহ সভাপতি সোয়েব আহমেদ, সহ-সভাপতি মাস্টার নুরুল ইসলাম, বিশিস্ট ব্যাবসায়ী হাজী জোবায়ের আহমেদ, সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দীন, সহ-সভাপতি নাসের মর্তুজা, যুগ্ম-সম্পাদক আবুল হাসেম এনাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মায়মুন, কেন্দ্রীয় মৎস্যজিবী দলের সদস্য রফি উল্লাহ ভূইয়া, যুবদলে সাধারন সম্পাদক শাহজান সবুজ, শ্রমিকদলের সভাপতি মোমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, জাসাস কুয়েত রাজ্য শাখার সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ফোরাম সিলেট বিভাগ’র সভাপতি মো: শওকত আলী।
বক্তারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রর্বতক, বাংলাদেশেী জাতীয়তাবাদের প্রবাদ পুরুষ, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার এই ৪৮ তম দিবসে জাতি আজ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারতেছে না, সমাজ বাক রুদ্ধ, গণতন্ত্র নির্বাসনে আছে, ৩০তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতেই ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসে গণতন্ত্রকে কলংকিত করেছে যেমন ১৯৭৩ সালে হেলিকাপ্টারে ভোট ডাকাতি হয়েছিলো। এখন আবার নতুন করে শেখ মুজিবের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করতে বাকশাল পূর্নগঠন করার ষড়যন্ত্র চলছে।
বক্তারা আরো বলেন, চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে আজও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেতো কিনা সন্দেহ ছিল। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা হুমখির মুখে এ থেকে একমাত্র উত্তরণের পথ “গণতন্ত্রের মা” দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই নব্য বাকশালের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনঃস্থাপন করতে হবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত না করতে পারলে স্বাধীনতা ও গনতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না। দেশে নিরাপদে বাঁচার অধিকার নেই, ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে আসবে না, কথা বলার অধিকার নেই আর পাওয়াও যাবেনা। স্বাধীনতা এখন পরাধীনতার শামিল।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন – জাহাঙ্গীর আলম সাধারন সম্পাদক মহানগর বিএনপি, আব্দুল কাদের আহবায়ক ফরওয়ানিয়া প্রদেশ বিএনপি, শেখ নিজামুর রহমান টিপু অন্যতম সদস্য জাসাস কুয়েত রাজ্য শাখা, কোরবান আলী সভাপতি মোবারক আল কবির প্রদেশ, শামিম আজাদ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমেদী প্রদেশ, আরিফুল ইসলাম যুগ্ম-সম্পাদক যুবদল কুয়েত, ফখরুল ইসলাম বিপ্লব সাধারন সম্পাদক মোবারক আল কবির প্রদেশ, আব্দুল কাদের মারওয়ান যুগ্ম সম্পাদক মহানগর বিএনপি, জসিম উদ্দিন সহ-সভাপতি আহমেদী প্রদেশ বিএনপি, মনির খাঁন যুগ্ম-সম্পাদক শ্রমিকদল কুয়েত, হাসান কামাল সভাপতি মাহাবুল্লাহ আঞ্চলিক শাখা, মাসুদ রানা প্রমুখ।