বিশেষ প্রতিবেদক.
ফুটবল টুর্নামেন্ট হবে আর পুরস্কার হিসেবে থাকবে বিরল প্রজাতির জ্যান্ত হরিণ। টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ রীতিমতো পোস্টার ছাপিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘোষনা দেয়। পোষ্টারে দেখতে পারেন গোলাকৃতি নীল ও হলুদ রেখাতে।
কিন্তু হরিণ পাবে কোথায় ___?
এরপর শুরু হলো বনবাদাড়ে হরিণের সন্ধান। দিনরাত খুঁজে অবশেষে পোস্টারে লেখা সেই বিরল প্রজাতির হরিণটি পাওয়া গেলো। সুনামগন্জ জেলার দোয়ারা বাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রহিমেরপাড়াসহ আশে পাশের নানান জঙ্গল খুঁজে হরিনটি ধরা হয়। এবার ফুটবল টুর্নামেন্ট হতে আর বাধা রইলো না। শুধু তাই নয় সেই খেলায় উপস্থিত থাকবেন সুনামগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক এমদাদ রেজা।
যাই হোক এমন টুর্নামেন্টে হরিণের পুরস্কারের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি আপনার আমার মতোই একজন মাহবুব হোসেন। তিনি নিজে শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। এরপরও দরজায় থেকে দরজায় কাকুতি-মিনতি করেন হরিণটি ছেড়ে দিতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ফুটবল টুর্নামেন্ট বলে কথা ! মাহবুব এবার শেষবার চেষ্টা করবেন। তিনি এবার সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট গেলেন সিলেট বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্তার কাছে। বনকর্তা এমন পোস্টার দেখে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। যখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কথা সব জায়গায় উচ্চারিত হচ্ছে তখন তার বিভাগে ঢাকঢোল পিটিয়ে এমন আয়োজন !!
এদিকে মাহবুবের ঠোটে হাসির ঝিলিক দেয়। শেষ পর্যন্ত হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে সিলেট বনবিভাগ। নিজে অসুস্থ থেকেও একটি বনের প্রাণীকে বাঁচানোর বিষয়টি একটি মহৎ উদ্যোগ।
তবে ফুটবল টুর্নামেন্ট ১৭ এপ্রিল পোস্টারে লেখা আছে। সেইসাথে হরিণের বিষয়টি আরও বড় করে লেখা আছে। এখনও সন্দেহ কাজ করে আবারো কি তারা জঙ্গলে যেতে পারে___??
৮এপ্রিল সোমবার রাত ১১.১৫মিনিটের সময়-একাত্তর টেলিভিশনের বন্যপ্রাণী -প্রতিবেদক- হোসেন সোহেল তার ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।