ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত মোকাবিলায় শ্রীমঙ্গলে হাওরের ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের তথ্যের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। (কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ০১৭০০৭১৭১৩৮)।
আজ বুধবার রাতে নির্বাহী অফিসার শ্রীমঙ্গল নামে ফেসবুকের টাইমলাইনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিষয়: ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলা-সংক্রান্ত সতর্কবার্তা আপলোড করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে ইতোমধ্যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি মুঠোফোনে বলেন, এ উপজেলায় হাওরে এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। আরও ৩০ভাগ ব্রি-২৯ জাতের ধান কাটা বাকি আছে। এ বছর উপজেলায় ৯ হাজার ৯০৩ হেক্টর জমিতে ফসল ফলানো হয়েছে। এর মধ্যে হাওর এলাকায় ৩ হাজার ৬৭৮হেক্টর জমিতে ফসল করা হয়। বাকিটা এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা হয়ে যাবে যদি বৃষ্টি না থাকে।
আমি মনে করি আগামী পরশুদিনের মধ্যে আরও ৫ ভাগ কাটা শেষ হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের খবরটা তো আমরা কৃষকদের মাঝে প্রচার করছি। তবে ওপরের জমিগুলোতে মাত্র ৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। বাকি সব রয়ে গেছে। ওটাতে কোনো সমস্যা হবে না বলে মত দেন তিনি।