প্রতিনিধি :: বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কথাকাটির কলহে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আখাড়উাগামী সুরমা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিন চন্দনা রাণী দাশ (২৮) নামের দুই সন্তানের জননী। ট্রেনের চাকায় তার পুরো ডান হাত ও ডান পায়ের দুই আঙ্গুল হারিয়েছেন।
চন্দনা রাণী দাশ শ্রীমঙ্গল শহরতলীর সবুজবাগ আবাসিক এলাকার কাতার প্রবাসী রনি দাশের স্ত্রী। বর্তমানে চন্দনাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন সে অনেকটা আশংকামুক্ত।
জানা যায়, সোমবার (৬ মে) দুপুর সোয়া ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশন প্লাটফর্মের উত্তর পাশ থেকে আখাড়উাগামী সুরমা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন চন্দনা। এ সময় তার ডান হাত ও ডান পায়ের দুই আঙ্গুল দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার মাথাসহ বাকী শরীর দুই লাইনের মধ্যে পড়ে ছিলো তাই তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী।
তিনি বলেন, ঘটনাটি আমাদের থানা ক্যাম্পাসের অদূরে হওয়ায় আমরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে পাঠানো হয়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, “ঘটনাটি বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সকালে ঝগড়া হয়। এর জের ধরেই রনি দাশের স্ত্রী রেললাইনে এসে ঝাঁপ দিতে যায়। চন্দনা দুই সন্তানের জননী। এক মেয়ে সাড়ে আট বছরের। আরেক ছেলে ৪ বছরের। এ ঘটনায় এখনো কেউ বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দেননি। তারপরও আমরা ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়রী করে রেখেছি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মঙ্গলবার বেলা দুইটারদিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে স্ত্রীর সাথে অবস্থারত কাতার প্রবাসী স্বামী রনি দাশ মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার স্ত্রী বাবার বাড়ী শায়েস্তাগঞ্জে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে ফ্যামেলীগতভাবে আমরা দুইজনের মধ্যে ঘটনারদিন সকালে একটু কথাবার্তা ও রাগারাগি হয়।
রনি দাশ বলেন, “এইরকম ঘটনা ঘটাবে স্বপ্নেও কল্পনা বা চিন্তা করতে পারিনি। কারণ আজকে ১০-১২ বছর ধরে আমাদের সংসারজীবন এর মধ্যে কোনও ঝগড়াঝাটি হয়নি।”