অজন্তা চৌধুরী, টরন্টো:
টরন্টোয় গত ৪ মে ‘Bangladesh Centre and Community Services – BCCS’ এর হলরুমে ৬ষ্ঠ বারের মত আয়োজিত হল “চালের গুঁড়া পিঠা উৎসব”।
উৎসবমুখর পরিবেশে কয়েক শতাধিক অতিথিদের সমাগমে দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলেছে এই পিঠা উৎসব।
সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজনে ছিল হরেকরকমের পিঠা, পুলি আর ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত মঞ্চ উন্মুক্ত ছিলো সম্মানিত অতিথিদের জন্য, বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমন্ত্রিত শিল্পীরা পরিবেশন করেছেন জারি সারি, পুঁথি পাঠ, কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও গান।
পিঠা উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বের দায়িত্বে ছিলেন মুক্তি প্রসাদ, সহযোগিতায় ছিলেন মম, মিতু, ফরিদা, তৌহিদা। যারা সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা হলেন বিষ্ণুপ্রিয়া, সোমা চৌধুরী, শুভ্রা সাহা, লিটন কাজী, শিরিন চৌধুরী, সুনীতি দাশ, রুনা, স্বপ্না আখতারী, শিখা আখতারী, বাসুদেব দত্ত, মামুন, মম কাজী, সুমী বর্মন, মৌ মধুবন্তী, ম্যাক আজাদ, ইভা, চাইনিজ সাংস্কৃতিক দল, রিদি, স্বপন, সুমন মালিক, রুনা, রিদি, হাবিব আখতারি, আজিম, স্বপন ও সম্মানিত অতিথিদের অনেকেই।
এই আয়োজনে টরন্টো প্রবাসী পরবর্তী প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা যে শুধু বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেছে তাই নয় মঞ্চেও বাংলা সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে তাদের আবেগ ও উচ্ছ্বাস ছিল নজরকাড়া।
এবারে আরো একটি বিষয় ছিল উল্লেখযোগ্য, সামাজিকভাবে টরন্টোর নানা স্তরে কাজ করেন যারা এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগেও পিঠা সরবরাহ করেছেন অনেকেই এই পিঠা উৎসবে। ১৭০০ পিঠার আয়োজনে তাই সমৃদ্ধ হয়েছিল এবারের জাঁকজমকপূর্ণ পিঠা উৎসব।
বিসিসিএস একটি নন-প্রফিট চ্যারিটেবল অর্গানাইজেশান। গত পাঁচ বছর ধরে বিসিসিএসের বার্ষিক ফান্ডরেইজিং এর জন্য চালের গুড়া পিঠা উৎসব নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। মে মাস হলো কানাডায় সাউথ এশিয়ান হ্যারিটেজ মান্থ। তাই মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথম শনিবারে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
৩০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে এমন একটি আয়োজনকে সার্থক করে তুলতে। বিসিসিএস এর প্রেসিডেন্ট হাসিনা কাদের এই উদ্যোগের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন পিঠা উৎসবের শুরু থেকেই।
টরন্টোর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সুপরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মৌ মধুবন্তী দীর্ঘ ছয় বছর ধরে এই পিঠা উৎসবের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ও কনভেনরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পিঠা বিক্রয়ের অর্থ থেকে যে ফান্ড হয় তা দিয়ে সেন্টারের রেনোভেশানের ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত স্পন্সরদের বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানানো হয় যারা আয়োজনটিকে সার্থক করে তুলতে এগিয়ে এসেছেন। আর বিশেষ ধন্যবাদ জানানো হয় আগত অতিথিদের যাদের সরব উপস্থিতিতে সার্থক হয়েছে চালের গুঁড়া পিঠা উৎসব।