মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
ঢাকা সিলেট ও চট্রগ্রাম রেলপথে স্কুল ছাত্রের সচেতনতায় অল্পের জন্য বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আন্ত:নগর উদয়ন ট্রেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৭ মে) রাত ১১টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর ইউনিয়নের ঈদগাহ টিলা গ্রাম এলাকার সিলেট-আখাউড়া রেলপথের ৩০৬/২ নং রেলপথ এলাকায়।
বুধবার (৮মে) দুপুরে জানা যায়,মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর ইউনিয়নের ঈদগাহ টিলার খোকন মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন। কমলগঞ্জের কামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র । মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আবুল হোসেন স্থানীয় সায়েদ কবিরাজের বাড়ি থেকে ফেরার পথে রেলের পাত ভেঙ্গে ফাঁক হয়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীদের অবহিত করে।
গ্রামবাসীরা এ খবরটি দ্রুত শমশেরনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শেখ রায়হান ফারুক এর মাধ্যমে শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ ও শ্রীমঙ্গল রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগকে অবহিত করেন।
এ খবর পেয়ে দ্রুত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙ্গা রেলপাত সরিয়ে সেখানে নতুন এক টুকরো রেলপাত বসিয়ে দেন। প্রায় একঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এসময় শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে চট্রগ্রাম অভিমুখী আন্ত:নগর উদয়ন ট্রেন শমশেরনগর স্টেশনে আটকা পড়েছিল। আর ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন কুলাউড়া স্টেশনে আটকা পড়েছিল।
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ রায়হান ফারুক বলেন, ‘ছাত্রটি সচেতন হয়ে বিষয়টি গ্রামবাসীকে না জানালে আমিও জানতাম না। আমি শমশেরনগর স্টেশন মাস্টারকে এ বিষয়ে জানিয়ে রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করলে তারা দ্রুত ভাঙ্গা রেলপাত সরিয়ে নতুন একটি পাত প্রতিস্থাপন করে।’
শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন,‘আসলেই ছাত্র আবুল হোসেনের সচেতনতায় সম্ভাব্য একটি রেল দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা গেল। কারণ আন্ত:নগর ট্রেনে ৫/৬ শত যাত্রী থাকে।’
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন,‘বর্তমানে রেলপথ ঝুঁকিমুক্ত আছে। সময়মত যদি স্কুল ছাত্র খবরটি না জানালে উদয়ন ট্রেনটি বড় দুর্ঘটনায় পড়ে যেত।’