শ্রীমঙ্গল একটি মার্কেটে গোডাউনসহ চারটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই – নগদটাকাসহ ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি!

 

সাইফুল ইসলাম.
শুক্রবার রাতে শ্রীমঙ্গল পৌরশহরের মৌলভীবাজারের সড়কের ১ নম্বর পুল এলাকায় আলা বক্স মার্কেটে অগ্নিকান্ডে গোডাউনসহ চারটি দোকানে নগদ টাকাসহ ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি। তারমধ্যে ৪লাখ ৬০ হাজার টাকা খোয়া গেছে।
শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় আলা বক্স মার্কেটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট ও মৌলভীবাজার সদর থেকে একটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ফায়ার স্টেশনের এক সদস্য মো.আনোয়ার হোসেন আহত হয়েছেন। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সূত্র জানায়, আগুনে ওই মার্কেটের মধ্যে ইকবাল এন্টারপ্রাইজ ও দেব বার্দ্রাসের গোডাউনসহ মোট চারটি দোকানের মালামাল পুড়ে ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দোকানগুলো মধ্যে ইকবাল এন্টারপ্রাইজের ১০ লাখ টাকা ও দেব বাদ্রার্সের ৪ লাখ টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
দোকানের ক্যাশ থেকে খোয়া গেছে ইকবাল এন্টারপ্রাইজের নগদ ৪ লাখ ও দেব বাদ্রার্সের নগদ ৬০ হাজার টাকা। দোকানে অধিকাংশই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ জাতীয় আইটেম ছিল। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা বলতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।
ইকবাল এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী ওসমান গনি ও বাদ্রার্সের সত্বাধিকারী শুভ্র দেব বলেন, আমাদের দোকানে ক্যাশ ভাঙ্গা ছিল। আগুনে টাকা পুড়ে নাই। আমাদের টাকা কে-বা কারা নিয়ে গেছে।’
তবে ইকবাল এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী ওসমান গনি অভিযোগ করে বলেন, আমার সাথে আরেক ব্যবসায়ী বিরোধ ছিল। আমার ধারণা সেই বিরোধের জের ধরে আগুনের আগুনের সূত্রপাত ও টাকা লুট হতে পারে।’
তবে স্থানীয় এক পথচারী জানান,মার্কেটে আগুন লাগার আগে এক মহিলা হাতে একটি ব্যাগ ছিল সে ওই মার্কেট থেকে বের হয়ে গেছে। এর পর পর আগুনের সূত্রপাত।’

 

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আজিজুল হক রাজন জানান, আলা বক্স মার্কেটে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিন ইউনিটের কর্মীরা দ্ইু ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।
তিনি আরও জানান, প্রথমে মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করি। ধোঁয়ায় ভর্তি। কোনভাবে দোকানের তালা কেটে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। তার আগেই ইকবাল এন্টারপ্রাইজ ও দেব বাদ্রার্সের সব মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া তার পাশের আরও একটি দোকানের আংশিক মালামাল আগুন নেভানোর পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করায় ওই মার্কেটের আরও দোকানপাট ও আশপাশের দোকানপাটগুলো রক্ষা পেয়েছে। আগুনে আনুমানিক ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

 

এদিকে আগুন নেভানোর সময় মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল সড়কের ওপর দিয়ে পাইপ দিয়ে পুকুর থেকে পানি আনার কারণে ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ ছিল।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম বলেন,ওই মার্কেটে আগুণে পুড়ে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়ে তা নিরুপন একটি লিখিত দেয়ার জন্য বলেছেন। তারপর উর্ধতন কতৃর্পক্ষের কাছে পাঠাবো। সরকারী যতটুকু সাহায্যে সহযোগিতা তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ইউএনও দোকানের ক্যাশ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে বলেন, তিনি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।’
শেয়ার করুন